শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

‘মাইরা তো ফেলছি, এখন কী করবা’ বলা সেই ওসির বিরুদ্ধে মামলা

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি
  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৬
আপডেট  : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৫:০৪
সাবেক ওসি অপূর্ব হাসান (ছবি: সংগৃহীত)

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে পল্লবী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসানের বিরুদ্ধে। সে সময় আন্দোলনকারীদের দমাতে অনেকটা হুমকির স্বরেই তাকে বলতে দেখা যায়, ‘মাইরা তো ফেলছি, এখন কী করবা।’ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবার সেই ওসি অপূর্বের বিরুদ্ধে হলো অপহরণ ও গুমের মামলা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রেজোয়ানের ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে যশোর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসান, ওসি তদন্ত খন্দকার শামীম আহমেদ ও এস আই নূর আলম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেনাপোল মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রেজোয়ান বাগআঁচড়া কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্র ছিলো। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে সে বেনাপোল ভূমি অফিসের পাশে রেজাউলের চায়ের দোকানে চা পান করছিলো।

এসময় বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নূর আলম ও অপর একজন মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যায়। এরপর রেজোয়ানের নাম জানতে চায়। সে নাম বললে তোকেই খুঁজছি বলে মোটরসাইকেলে উঠতে বলে। এরপর তাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে ওসি অপূর্ব হাসান তাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। অন্যথায় সকলকে গুম করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট রেজোয়ান নিখোঁজ উল্লেখ করে জিডি করতে গেলে ওসি তদন্ত খন্দকার শামীম আহমেদ লেখা সঠিক হয়নি বলে কাগজ ফেরত দেয়।

এরপর নিজের মনমতন একটা জিডি লিখে তা লিপিবদ্ধ করে। ওই ঘটনার পর থেকে অদ্যবধি রেজোয়ানের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। রেজোয়ানের পরিবারের ধারণা পুলিশ আটকের পর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। ওইসময় পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় ওই ঘটনায় মামলা করতে পারেনি তার পরিবার। বর্তমানে প্রেক্ষাপট অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচার পেতে এ মামলা দায়ের করেছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে