রাকাব জোনাল ব্যবস্থাপকে দুই দফা বদলি ও পদায়ন করা হলেও কোথাও ঠাঁই নেই তার 

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:০৩

রংপুর প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

অধিনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তীব্র আপত্তিরমুখে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) নীলফামারীর জোনাল ব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলামকে একই দিনে দু’বার বদলি ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

রাকাব সূত্রে জানা গেছে, ২১ আগস্ট নীলফামারী জোনের ২২টি শাখার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জোনাল ব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, অশোভন আচরণ, বদলির হুমকি-ধামকি, যোগ্য কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন ও জেলার বাহিরে বদলী করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাকে অবরুদ্ধ এমন আশঙ্কায় ওষুধ সেবনের কথা বলে খায়রুল ইসলাম পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গা ঢাকা দেন। 

এ অবস্থায় ২২আগস্ট দুপুরে তাকে নীলফামারী থেকে বদলি করে রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে উপমহাব্যবস্থাপক পদে যোগ  দেওয়ার জন্য অফিস আদেশ জারি করা হয়। কিন্ত বিধিবাম, তার যোগদানের খবর শুনে রংপুর জোনের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও ফুঁসে ওঠেন। তারা অসাধু ঐ কর্মকর্তাকে রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে যোগদানে তীব্র আপত্তি জানিয়ে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। 

এতে চরম বেকায়দায় পড়ে যান উপর মহল। সূত্র জানায়, কোন উপায়ন্তর না পেয়ে তড়িঘড়ি করে একই দিন অপরাহ্নে পুনরায় তার বদলি আদেশ বাতিল করে রাজশাহীস্থ প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ হিসাব বিভাগ-২ এ পদায়ন করা হয়। এঘটনায় সেখানেও ফুঁসে উঠেছেন রাকাব প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও রাকাবের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি সমস্ত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে টানা তিনবার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ আকড়ে থাকা আওয়ামী লীগ ঘরানার রইছউল আলম মন্ডল ও ব্যাংকের ডিএমডি আব্দুর রহীমের মদদপুষ্ট হওয়ায় অসাধু ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনও কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে এমডি নিরঞ্জন চন্দ্র বেদনাথের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে কোন সাড়া মেলেনি। 

যাযাদি/ এম