নীলফামারীতে রাকাব জোনাল ব্যবস্থাপক অবরুদ্ধ

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৩৭ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৩৮

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
ছবি : যায়যায়দিন

বিভিন্ন অনিয়ম, স্বোচ্ছাচারিতা, কথায় কথায় অধিনস্তদের অশালীন ভাষায় কথা বলা, বদলির হুমকিধামক্কিসহ বিস্তর অভিযোগ এনে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) নীলফামারী জোনের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জোনাল ব্যাবস্থাপক খায়রুল ইসলামকে অপসারনের দাবিতে বুধবার তার অফিস রুমে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, জোনাল ব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলাম নীলফামারীতে যোগদানের পর থেকেই কর্মস্থালে না থেকে প্রতিদিন দিনাজপুর থেকে অফিসের গাড়িতে যাতায়াত করলেও অধিনস্তদের ছুটির দিনেও কর্মস্থলে থাকতে বাধ্য করেন। 

অফিসের গাড়িতে দিনাজপুর যাতায়াত এবং গাড়ি যন্ত্রাংশ কেনাকাটা নিয়ে বিরোধে এক ড্রাইভারকে অন্যত্র বদলির মতো হিন কাজও করেছেন। তিনি অফিসের গাড়ি ও তেল ব্যবহার করার পরেও প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা টিএ বিল উত্তোলন করেন। 

অথচ কর্মকর্তা কর্মচারীদের টিএ বিল দেন মাত্র এক থেকে দুহাজার টাকা। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, দেশের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তর জনপদের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে রাকাব যখন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, তখন জোনাল ব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলাম ছোট ছোট ঋণ গ্রহীতাদের নামে নোটিশ প্রদান, মাইকিং, মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ভাবে ঋণ আদায়ের নির্দেশ দেন। 

তিনি প্রতি সপ্তাহে অযাচিত ভাবে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানুষিক ভাবে চাপে ফেলে নিজের লক্ষ্যমাত্রা ভালো করার অপচেষ্টার ফলে এলাকায় রাকাবের ঋণ কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। 

অবরুদ্ধ জোনাল ব্যাবস্থাপক খায়রুল ইসলাম এক সপ্তাহের মধ্যে অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যেতে চাইলেও ক্ষুব্ধ কর্মকতা-কর্মচারীরা তা প্রত্যাক্ষান করে তাকে আজই বদলি নেয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। 

সন্ধ্যা ৬ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। অনাকাংখিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন। 

যাযাদি/ এম