সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রীর খুটির জোরে বেপরোয়া ছিলেন হারুন ও মন্টু

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১৬

মুলাদী,বরিশাল প্রতিনিধি
সংগৃহীত ছবি

সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কাজে লাগিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন-সচিব হারুন বিশ্বাস ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাসের রামরাজত্বে বরিশালের মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নবাসীকে গত ১০ বছর কারনে অকারনে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ওই দুই ভাইয়ের কারনে কাজিরচর ইউনিয়নে একাধীক হত্যা, নির্যাতন, জমি দখল, সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই ভাইয়ের রামরাজত্বে ইউনিয়ন বাসীকে থাকতে হতো তটস্থ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন টু-টা শব্দ পর্যন্ত করতে পারতোনা। আর এর মুলে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর খুটির জোর। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কাজে লাগিয়ে আইনসৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে বদলী বানিজ্যে সিদ্ধহস্ত ছিলেন হারুন। হারুন ও মন্টু মৃত আউয়াল বিশ্বাসের ছেলে হারুন বিশ্বাসের কারনে গত ২০২২ সালে কাজিরচর ইউনিয়নে চরকমিশনার গ্রামের সালাম হাওলাদারের ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মনির হাওলাদারকে হত্যা করা হয়। ঐ সময় হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও অপরাধীদের আরাল করে নিরঅপরাধী গ্রাম বাসীদের আসামী করা হয়। এমনকি সিআইডি দপ্তরে মামলা গেলে সিআইডি কর্মকর্তা সঠিক তদন্তর পথে হাটা শুরু করলে আসামী গ্রেফতার করতে গিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা আসামীর হাতে মারপিঠ খেয়ে রিলিজের স্বীকার হয়েছেন হারুন বিশ্বাসের কারুনে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছের লোক হওয়ায় থানার কর্মকর্তারাও তার অন্যায় কাজকে সমর্থন দিতে বাধ্য হন। হারুন বিশ্বাস ও তার ভাই মন্টু বিশ্বাসের গ্রাম্য রাজনীতির  কারনে ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জের উপস্থিতিতে দিনের আলোতে জীবন দিতে হয়েছে একই গ্রামের মৃত ধলু হাওলাদারের ছেলে আঃ রব হাওলাদারকে। কিন্তু সেখানেও প্রকৃত আসামীদেরকে ছাড়াও জড়ানো হয়েছে নিরাপরাধ গ্রামবাসীকে। এই হত্যার ঘটনায় ঐগ্রামের প্রায় দুই শতাধীক পরিবারকে হতে হয়েছে এলাকা ছাড়া। সাবেক যুগ্ন-সচিব হারুন বিশ্বাসের প্রভাবে পুলিশ দুটি মামলার একটির ও সঠিক তদন্ত করার সাহস পায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রামবাসী উত্তেজিত হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ভয়বীতি দেখানো হতো। গত ১০ মে হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাসের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে মৃতর মুখ থেকে ফিরে আসলেও ছোখ হাড়িয়ে বেচে গেলেন ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক সোহেলকে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শামিম খানকে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস তার ভাইয়ের ক্ষমতাবলে সরকারী খাল দখল, খাস জমিতে পাকাঘর নির্মান করলে সেখানে সাংবাদিকরা বিষয়টি তুলেধরে সংবাদ পরিবেশন করেন। এ কারনে এশিয়ান টিভি মুলাদী উপজেলা প্রতিনিধি আবু হানিফকে সাধা প্রশাক পরিহিত লোকদিয়ে ধরিয়ে নিয়ে লাঞ্চিত করে এবং একাধীকবার বাব ডাকিয়ে সোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। এছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিককে মামলা-হামলা সহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন। এব্যাপারে হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

যাযাদি/এসএস