বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

রামগঞ্জে টানা বর্ষণে পানিবন্ধি হাজারো পরিবার

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৫৯
ছবি : যায়যায়দিন

লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাতে টানা বর্ষণে পানিবন্ধি হাজারো পরিবার। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা এবং খাল দখলের ফলে টানা বৃষ্টিতে জলাবন্ধতা সৃস্টি হয়ে রাস্তাঘাট, বাড়ি ঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ থেকে ৫ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।

উপজেলার লামচর,ইছাপুর, কাঞ্চনপুর, চন্ডিপুর, করপাড়া ইউনিয়নের সমিতির বাজার ও বাংলাবাজার, নবিনগর বাজার সাহাপুর বাজার আশেপাশের এলাকা, নয়নপুর, নুনিয়াপাড়া, সামদানপুর, শেখপুরা,উত্তর কালিকাপুর, দক্ষিন কালিকাপুর, কাশিমনগর, রসুলপুর, শৈলখালী, হরিচ্চর সহ অনেক এলাকার ঘর-বাড়ি পানির নিচে ডুবে গেছে।

ভেসে গেছে কয়েক শত মাছের ঘের। বহু স্থানে গরু ও মুরগীর খামারিদের খামার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

নুনিয়া পাড়ার সুমনসহ মাছ চাষিরা বলেন প্রায় ৩’শ পুকুরের অন্তত কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে তাদের। নিম্মাঞ্চলে পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে বহু জলাশয়ের ছোট বড় মাছ বের হয়ে গেছে। দাদনে টাকা নিয়ে অনেক মাছ চাষি পুকুর ইজাড়া নিয়ে মাছ চাষ করেছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

এ ছাড়াও কয়েক হেক্টর আমনের বীজতলা ও শাক সব্জির বীজতলা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

নারায়নপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমির হোসেন লাবলু বলেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা বর্ষার মৌসুমে ডুবে যায়।

গত এক সাপ্তাহ প্রবল বর্ষনে উপজেলার নিম্মাঞ্চল সমুহ ৫ থেকে ৭ ফুট প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ স্থানে রাস্তাঘাট ও কাঁচা পাকা ঘরের সামনে হাঁটু পরিমান পানি দেখা গেছে।

করপাড়ার মেজবাউল হক টিপু জানান, আমাদের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঢুকে গেছে পানি। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যান চলাচলও বিঘ্ন হচ্ছে।

অপরিকল্পিতভাবে বাড়ী ঘর নির্মাণ আর বিভিন্ন স্থানে খালে বাঁধ দেওয়ায় এবং অবৈধ ভাবে দখল করার কারণে এবং পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে ভোগান্তিত পড়েছেন হাজারো পরিবারের মানুষ।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান জানান, ফেনীতে পাহাড়িঢল এবং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রামগঞ্জ ও রায়পুরের নিম্ম অঞ্চলে পানি বেড়ে গেছে।

এছাড়াও প্রভাবশালীরা খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দেওয়ায় পানি নিস্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। খাল খননের জন্য আমরা প্রস্তবনা পাঠাইছি অনুমোদন হলে খাল খনন করা হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে