মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
ভেড়ামারা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে বিশাল জনসভা

খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের করুণ যে পরিণতি হলো তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে : শহিদুল ইসলাম

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৮
ছবি: যায়যায়দিন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা- মিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, খুনি ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসর কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড সহ সকল হত্যার বিচার করতে হবে। এ দাবি এখন বাংলার সব জনগণের। তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি আরও তার বাপ যেমন সেও তেমন খুনি ও স্বৈরাচার। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দল। ১৬ বছরের সকল কুবৃত্তির বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে অনুকরণ করে প্রতিশোধ পরায়ণ হবো না। আইনের মাধ্যমে বিচার করবো। এই খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের যে করুণ পরিনতি হয়েছে, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আরো বলেন, এদেশের মানুষের ওপর খুন, জুলুম, গুম নির্যাতন দখল, চাঁদবাজির হোতা খুনি হাসিনা ও তার দল করেছে। তার ফল তারা পেয়েছে। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও জনরোষে নিজে বাঁচতে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তার দলের লোকজন যে সব অপকর্মে লিপ্ত ছিলো তা আমাদের করলে চলবে না। প্রতিশোধ হাতে তুলে না নিয়ে আইনের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। দখল, জ্বালাও পোড়াও থেকে বিরত থেকে যে ধৈর্যের পরিচয় আপনারা দিয়েছেন তা বজায় রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, দেশকে আবারও গভীর অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেতন ও সজাগ হতে হবে। আমরা এমন একটা আইন চাই, যে আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলকে তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আর আন্দোলন করতে হবে না।

রোববার বিকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসর কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে বিশাল জনসভায় একথা বলেন।

ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিহাবুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা- মিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম।

বক্তব্য রাখেন- মিরপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, ভেড়ামারা পৌর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু দাউদ, বিএনপি নেতা নুরউদ্দিন নুরু ভিপি,অধ্যক্ষ আসলাম উদ্দীন, বদরুজ্জামান বাদল, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জানবার হোসেন, প্রচার সম্পাদক জাহিদুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামিম রেজা, সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক বিপ্লব আহমেদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম রোকন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক হাফিজুর রহমান জিন্না, সদস্য সচিব নজিবুল হক সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলতামাস আসলাম নিউটন, ছাত্রদল নেতা প্রত্যাশা করিমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিন দুপুর থেকেই শহরের প্রধান সড়ক মিছিলে মিছিলে পরিপুর্ন হয়ে যায়। জনসভা রুপ নেই বিশাল জনসসমুূদ্রে।

প্রধান বক্তা এ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম আলম বলেন, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও এর যে মিথ্যা অভিযোগ ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারণা। এগুলো যে মিথা প্রচারণা তার প্রমাণ ভেড়ামারা শহরের রঘুনাথ মন্দিরে চল্লিশ প্রহরব্যাপী নামযোগ্যকীর্তন নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। তাহলে এই মিথ্যা প্রচারণা কেন? কার স্বার্থে। হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যা লঘু নয় আমরা সবাই বাংলাদেশী এটাই পরিচয়। সম্প্রীতি নষ্টের পায়তারা করবেন না।

১৬ বছরে আওয়ামী লীগ দ্বারা বিএনপির দলীয় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সম্পত্তি যারা দখল করেছে তছরুপ করেছে এবং শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তারা এখন থানায় গিয়ে মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে বিচারের ব্যবস্থা করুন। সেই সব অপরাধীদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে