বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

সলঙ্গায় ৬ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আত্মগোপনে

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১৭ আগস্ট ২০২৪, ২১:২৩
ছবি : যায়যায়দিন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ,সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ও ইউনিয়ন আ'লীগের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে আছেন।

এমনকি নৌকার টিকিটে নির্বাচিত সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরও কোন খোঁজ খবর মিলছে না। ২/১ জনের ফোন চালু থাকলেও কল রিসিভ করছেন না। আবার অনেকের ফোন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট পরিষদের সচিব ও মেম্বররা জানান,চেয়ারম্যান পরিষদে কবে বসবেন, তা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি।

এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা শতশত মানুষ বিপাকে পড়েছে।

৮ নং সলঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো, তিনিও থানা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ৯ নং হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম রেজা, তিনি থানা আ'লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। এ দিকে ৩ নং খুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল হলেন,থানা আ'লীগের অন্যতম সদস্য, ৪ নং ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সরকার হলেন, সলঙ্গা থানা আ'লীগের সাবেক সভাপতি ও ৭ নং নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক হলেন, নলকা ইউনিয়ন আ'লীগের সাবেক সভাপতি।

তারা সবাই এখন আত্মগোপনে আছেন। অপরদিকে আ'লীগের কিছু নেতাদের মাঝেমধ্যে সলঙ্গা বাজার সহ আশে পাশে ঘুরতে দেখছে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা জানান,জন্ম নিবন্ধন সনদ,ওয়ারিশীয়ান সনদ, নাগরিক/চারিত্রিক সনদ,গর্ভবতী ভাতা,বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এসে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার গোপন স্থানে থাকা চেয়ারম্যানদের কাছে গিয়ে সেবা গ্রহীতারা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা কার্যক্রম দ্রুতই স্বাভাবিক করার দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

এবিষয়ে মুঠোফোনে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে দ্রুতই যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে