শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় হামলার শিকার শিক্ষার্থী, প্রতিবাদে সহপাঠী ও শিক্ষকদের মানববন্ধন

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি
  ১১ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৫১
ছবি: যায়যায়দিন

বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের আসমাতুন্নেসা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী মিলার (১৫) ওপর বখাটে কর্তৃক হামলার প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিদ্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।

রোববার(১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার গোলচত্বরে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে শেষ হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিতোষ হালদার, শিক্ষিকা মাকছুদা আক্তার লাভলি আক্তার, আকলিমা বেগম, সহপাঠী শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার। এসময় বক্তারা হামলাকারী বখাটে মো. হাসান এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে উপজেলায় সদর ইউনিয়নের চাড়াখালী গ্রামের মিরাজ সিকদার এর মেয়ে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী মিলা প্রতিদিনের ন্যায় বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্যেশে রওয়ানা হয়। এসময় প্রতিবেশী খলিলুর রহমানের ছেলে বখাটে মো. হাসান (২০) বাসার সামনেই তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে সড়কে লুটিয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীর চিৎকার শুনে বাবা ও স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত শিক্ষার্থী মিলার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।

ওই শিক্ষার্থীর পিতা মিরাজ সিকদার বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরের বখাটে হাসান আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। ওই ছেলে ও তার পরিবারের জন্য আমার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ঘটনার সময় আমার মেয়ে বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলো,এমন সময় বখাটে হাসান তার পথ রোধ করে। একপর্যায়ে তাকে সে এলোপাথারী পিটায় এবং একটি ধারালো দা দিয়ে তাকে কয়েকটি কোপ দেয়। এতে মেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে এ সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আমার মেয়েকে আপনারা বাঁচান।

এ ব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় বামনা থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যেই ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত হাসান এখনো পলাতক রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে