বরগুনার বামনায় কয়েক দফায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মো. হাসান নামে উপজেলার চাড়াখালী গ্রামের মো.খলিলুর রহমান এর ছেলে।
গতকাল শনিবার( ১০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে চাড়াখালী গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর বাসার সামনে এই মর্মান্তিক হামমলার ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত শিক্ষার্থীকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে চিকিংসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠায়।
আজ সন্ধ্যায় এঘটনায় বামনা থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে শিক্ষার্থীর বাবা মিরাজ সিকদার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামীর বাবা, মা ও ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিক্ষার্থীর বাবা মিরাজ সিকদার বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরের বখাটে হাসান আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। ওই ছেলে ও তার পরিবারের জন্য আমার ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ঘটনার সময় আমার মেয়ে বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্যেশে বের হচ্ছিলো এমন সময় বখাটে হাসান তার পথ রোধ করে। একপর্যায়ে তাকে সে এলোপাথারী পিটাতে থাকে পরে আমি চলে আসলে সে একটি ধারালো দা দিয়ে তাকে কয়েকটি কোপ দেয়। মেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে সে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্তা গুরুতর হলে ডাক্তাররা তাকে বরিশাল পাঠায়। আমার মেয়েকে আপনারা বাঁচান।
এব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, সন্ধ্যায় এঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত হাসান এখনো পলাতক রয়েছে।
যাযাদি/ এস