বরিশালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (০৪ আগষ্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর সিএন্ডবি রোড কাজিপাড়া এলাকায় ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে সেখানে থাকা আসবাবপত্র রাস্তায় বের করে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। তবে তখন কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের প্রথম গেট থেকে শিক্ষার্থীরা গণমিছিল বের করে। মিছিলের অগ্রভাগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিছ জাহান শিরিন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আফরোজা খানম নাসরিনসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মিছিলটি সিএন্ডবি রোড এসে আওয়ামীলীগের কার্যালয়টি ভাঙচুর করে।

অন্যদিকে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুপুর ১টার দিকে নগরীর সদর রোডস্থ বিএনপির এ দলীয় কার্যালয়টিতে হামলা চালানো হয়। তবে এ সময় দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, হঠাৎ দুপুর ১টার দিকে সদর রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কয়েকশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জড়ো হন। এ সময় তারা দলীয় কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং পিটিয়ে দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে সেখানে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছু ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সদর রোডে মিছিল করেন।

এদিকে বিকাল ৬ টার দিকে আবারো বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারক শামীমের বাসার সামনে হামলা চালায় আনেদালনকারীরা। তারা সেখানে থাকা ৫ টি মটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এসময় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া স্থানীয় দৈনিক আজকের সুন্দরবন পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক লুৎফর কবির জুয়েল ও ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সানজিদুল কবির বাবু’র মটর সাইকেলটিও পুড়িয়ে ফেলে আন্দোলনকারীরা। এর আগেও দুপুরে ওই একই জায়গায় হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীরা প্রায় ৫০ টি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

সাংবাদিক জুয়েল জানান, তিনিসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক মন্ত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে যান। হটাৎ করেই কিছু যুবক ওই বাড়ির দিকে ছুটে আসে। তখন তিনিসহ অন্যান্যরা যে যার মত করে নিরাপদ আশ্রয় চলে যান। কিন্তু রাস্তায় থাকা তার মটর সাইকেলটি আর সড়ানো সম্ভব হয়নি। হামলাকারীরা তার গাড়িসহ ঘটনাস্থলে থাকা ৫ টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে সবগুলো গাড়ি ভস্মিভুত হয়।

যাযাদি/ এস