শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

সড়ক দখল করে অটোরিকশা ও মটরসাইকেল স্ট্যান্ড, চরম ভোগান্তি 

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
  ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৫:২৪
ছবি-যায়যায়দিন

বরগুনার তালতলী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক গুলো দখল করে গড়ে উঠেছে অটোরিকশা ও মটরসাইকেলের স্ট্যান্ড। শহরের ব্যস্ততম সড়কে একপাশে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং অপরপাশে রয়েছে মটর সাইকেল। এর ফলে যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছে জনসাধারণ। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে বড় গাড়ি চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।

জানা যায়, উপজেলার প্রান কেন্দ্রে মালিপাড়া থেকে বটতলা ও টি এন্ড টি সড়ক নিয়ে তালতলী বাজার। এই তিনটি সড়কের মোড়ই ব্যস্ততম এলাকা। কিন্তু রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সারি,অন্যপাশে রয়েছে মটরসাইকেলের সারি। প্রধান সড়কের দুপাশে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলের জায়গা খুবই কম। এতে প্রতিদিন যাত্রী ও গাড়ি চালকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ফলে এসব সড়ক গুলোর সামনে প্রায় সময় ভিড় লেগেই থাকে।

স্থানীয় আল আমিন, জলিল ও মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বাজার করা সহ বিভিন্ন কাজে আসলে আমাদের বিরক্তের শেষ থাকে না। প্রধান সড়ক দখল করে এরা অটোরিকশা ও মটর সাইকেল স্ট্যান্ড বানিয়েছে। গাড়ি ঠিকমতো আসা-যাওয়া করতে পারে না। যানজট এখানকার নিত্যসঙ্গী।

অটোরিকশার যাত্রী মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি লাউপাড়া থেকে প্রায়ই তালতলী বাজারে আসি। কিন্তু বাজারে আসলে চৌরাস্তা নামক স্থান ও টিএন্ডটি রোডে প্রায়ই জ্যাম লেগে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দেখেও দেখছেন না।

এ বিষয়ে ট্রাকচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, তালতলী বাজারের রাস্তা অটোরিকশার চালকদের দখলের কারণে আমাদের ট্রাক চলাচলের জায়গা একেবারে নেই বললেই চলে। সব সময় রাস্তার ওপর রাখা হয় অটোরিকশা। বড় কোন গাড়ি এ রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে না।

রাস্তা দখল করে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক শহিদুল ও ইমরান বলেন, আমরা কোথায় যাব?। দাঁড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই এখানে। বাধ্য হয়ে কখনো রাস্তার পাশে, কখনো রাস্তার ওপরই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। মোটরসাইকেল চালক শাহিন ও হুমায়ন বলেন, আমাদের জন্য নির্ধারিত কোনো স্থান নেই। তাই সড়ক দখল করে আমাদের মটরসাইকেল রাখতে হয়। আমাদের অন্য কোন জায়গা দিলে সেখানে চলে যাব।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আমরা একাধিকবার মটরসাইকেল ও অটোরিকশার ড্রাইভারদের বলা হচ্ছে যাতে সড়কে তাদের গাড়িগুলো না রাখে। কিন্তু সেটা মানছে না এজন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে নিয়ে একটি মিটিং করে এইসব স্ট্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এরপরে যদি কেউ সড়কে গাড়ি রাখে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে