গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কোটা আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে জানা গেছে। এসময় দুর্বৃত্তরা জুয়েল মোল্লা নামে জাহাঙ্গীর আলমের এক ব্যক্তিগত সহকারীকে পিটিয়ে হত্যা করে।
তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেল গাজীপুর থেকে ঢাকার আওয়ামীলীগের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য বেশকিছু নেতাকর্মী নিয়ে রওনা দেন। তার গাড়ি বহর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এলাকা পার হওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি বহরের গতিরোধ করে। এসময় জাহাঙ্গীর আলমের গাড়ি বহরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটের আঘাতে জাহাঙ্গীর আলমের মাথা ফেটে গেলে যায়। এসময় তার সাথে নেতাকর্মীরাও আহত হন। এসময় তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ তৈরী করলে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পরে জাহাঙ্গীর আলম পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিছু সময় পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পাশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় তার মাথায় ১৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এর একদিন পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
যাযাদি/ এস