রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

শতকার ৯৮ ভাগ মেধা; মুক্তিযেদ্ধাদের কোন কোটাই নেই: বগুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বগুড়া প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৯:৩৪
ছবি-যায়যায়দিন

‘যারা একাত্তর সালে স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, যারা বাংলাদেশের ক্রমগত উন্নয়ণকে দমিয়ে রাখতে চায় তারাই মূলত কোটা আন্দোলনের নামে বাংলাদেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিলো’।

বৃস্পতিবার বিকেলে চলমান আন্দোলনে ধ্বংশজজ্ঞ পরিদর্শনকালে স্বরষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা বলেন। তিনি সাড়ে চারটার দিকে হেলিপ্টারে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে নামেন। এরপর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সদর ভূমি অফিসসহ সাতমাথা এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন ২০১৮ সালে একটা কোটা আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনে তাদের যে ডিমান্ড ছিল তার প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা বিলুপ্ত ঘোষনা করে দিয়েছিলেন। তারপরে সঙ্খুব্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধার দুই সন্তান হাইকোর্টে একটা রিট করে। রিট করাতে হাইকোর্ট থেকে একটা নির্দেশনা দেয়া হয় যে, কোটা পুনরায় চালু করা হোক।

এতে ছাত্ররা আবার সঙ্খুব্ধ হয়ে কোটা আন্দোলন শুরু করে। এসময় সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের বাহিরে থেকে ফিরে এসে বলেছিলেন যে, যেহেতু বিচার বিভাগ স্বাধীন তারা ঐ রায়ের বিরুদ্ধে একটা আপিল করেন কিন্তু তারা আপিল না করে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে দেয়। তখন আমরা দেখলাম ধীরে ধীরে এই আন্দোলন সারাদেশব্যাপি শুরু হলো। তখন সরকার পক্ষ থেকে এই রায়ের বিরুদ্ধে অবজারবেশন করি।

এর পর বিচারপতি সর্বোচ্চ আদালত থেকে ফুল বেঞ্চ বসে এই কোটাকে সংস্কার করে ৭ পার্সেন্ট রায় ঘোষনা করলেন। তার মধ্যে ৫ পার্সেন্ট মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক পার্সেন্ট ক্ষুদ্র নৃগোষ্টিদের জন্য।

এসময় মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা আছি আমাদের ছেলে মেয়েদের বয়স কিন্তু ৩০ বছর পার হয়ে গেছে। অর্থাৎ এখন আর মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কোটাই নেই। এখন ৯৮ ভাগই মেধা। আমরা মনে করেছিলেন যে এই রায়ে আন্দোলনকারীরা বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ দেবেন কিন্তু এই কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে, যারা বাংলাদেশ চাইনি তারা সবগুলো দল একত্রীত হয়ে এই ধংস লীলা চালিয়েছে। এই আন্দোলনে তারা মুক্তিযোদ্ধার মুরালটাও তারা ভেঙ্গে দিয়েছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের অফিস, জাসদের অফিস, থানা ভবন, ভুমি অফিস জজের বাসভবনসহ বিভিন্নস্থানে ভাংচুর চালায়। তারা কখনোই এই দেশ স্বাধীন চায়নি আপনারা দেখেছেন যে, নরসিংদিতে জেলখানায় যেখানে আমরা জঙ্গিদের আটকে রেখেছিলাম সেখান থেকে তারা গেইট ভেঙ্গে তাদের বের করে নিয়ে গেছে। আসলে তারা চেয়েছিল দেশকে কিভাবে আতঙ্কিত করা যায়, দুরবার গতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশকে কিভাবে স্তব্দ করা যায়, মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে কিভাবে নসসাৎ করা যায় তারা সেটাই চেয়েছিল। এসময় মন্ত্রী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন ছাত্রদের দাবী মেনে নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাদের অন্যান্য দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে এগুলোর বিবেচনা করবেন।

উল্লেখ্য, আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে আজ দুপুর পর্যন্তও বগুড়ায় কোন আওয়ামী লীগের নেতাদের কেনো দেখা যায়নি এমন প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন আমি দিতে পারবোনা। এর জবাব বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেবেন আপনার তাদের কাছে থেকেই জেনে নেবেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে