রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

বারহাট্টায় ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বারহাট্টা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৯:০৮
ছবি-যায়যায়দিন

নেত্রকোণার বারহাট্টায় স্কুলের ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করায় আকাশ হোসেন প্রান্তর (২৩) নামের এক যুবকের দ্রুত-বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

সচেতন ছাত্র সমাজ ও এলাকাবাসির ব্যানারে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে উপজেলার বাউশী বাজারের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

ছাত্রীর নাম ইতি আক্তার (১৫)। তিনি বাউশী ইউনিয়নের পূর্বদত্তখিলা গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় রূপগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। অভিযুক্ত যুবকের নাম আকাশ হোসেন প্রান্তর (২৩)।

তিনি ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন সুসং-ডহরপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ জানায়, প্রান্তর বখাটে প্রকৃতির ছেলে। ইতি খুবই সুন্দর মেয়ে। প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ইতিকে উত্যক্ত করতো প্রান্তর।

এ ব্যাপারে ইতির পরিবারের পক্ষ হতে প্রান্তরের পরিবারের কাছে বিভিন্ন সময় বিষয়টি জানানো হয়। গত শনিবার (২০ জুলাই) অন্যান্য দিনের মতো ইতি প্রান্তরের বাসার সামনে দিয়ে বাউশী বাজারের প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রাপ্ত ভয় দেখিয়ে ইতিকে আনন্দ মিয়া নামের এক ব্যক্তির প্রায় পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে ইতি প্রথমে বিষয়টি তার স্বজনদের জানায় ও পরে কীটনাশক পান করে।

কীটনাশক পানের বিষয়টি টের পেয়ে চিকিৎসার জন্য ইতিকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে ময়মনসিংহ ও পরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ২২ জুলাই বিকেলে শান্তিবাগের একটি বেসরকারী হাসপাতালে মারা যায় সে। এই ঘটনায় বড় ভাই মোঃ রাহুল আমীন বাদি হয়ে ২৩ জুলাই বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করেন। বাউশী ইউনয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মানিক মিয়া সরকার বলেন, ইতি আক্তারের বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি। সে খুবই সৎ চরিত্রের অধিকারী ছিল।

ঘটনাস্থল বাড়ির মালিক আনন্দ মিয়া বলেন, আমি অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে খাই। সংসারে আমি একা, আমার ভাংগা ঘর, প্রায় খোলাই থাকে, যে কেউ সহজে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। কোন সময় কে আসে বা যায়, আমার জানা থাকে না। ঘটনার দিন আমি বাসায় ছিলাম না। বিকেলে বাসায় ফিরে ওই খারাপ ঘটনার কথা পরস্পর জানতে পারি।

ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তি বাসার বাসিন্দা ঝর্না বলেন, ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম না, পরে এসে শুনেছি। বড় ভাই মোঃ রাহুল আমীন জানান, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে ইতি তার সঙ্গে হওয়া ঘটনার সবকিছু খুলে বলে। এই বক্তব্যের ভিডিও মোঃ রুহুল আমীন নামে আমার এক আত্মীয় ধারণ করে রেখেছেন।

বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আকাশ হোসেন প্রান্তরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৯(ক) ধারার বিধানমতে মামলা রজু করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্ঠা চলছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে