রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে

আবু-বিন-আজাদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫২
ছবি: যায়যায়দিন

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্দলের নর্দান কোল্ড ষ্টোরেজ থেকে পাটোয়ারী পাড়া পর্যন্ত বন্যার পানি থেকে রক্ষার জন্য খড়খড়িয়া নদীর শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্ত হওয়ায় এবং বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় খড়খড়িয়া শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতি বর্ষা মওসুমে খড়খড়িয়া নদীর পানি বেড়ে দু’কুল ছাপিয়ে ব্যাপক এলাকা তলিয়ে যায়। তাই, শহরকে বন্যার পানি থেকে রক্ষার্থে পাকিস্তান আমলে এ শহর রক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। এমনিতেই পৌরসভার শহর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় হাটু পরিমাণ পানি জমে থাকে। এমনকি শহরের প্রধান ক’টি সড়কেও হাটু সমানের চেয়ে বড়মাপের পানি জমে। তাছাড়া, সৈয়দপুরে রয়েছে বিমানবন্দর, সেনানিবাস, দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা, আর্মি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১০০ শয্য হাসপাতাল। এসবের অনেক এলাকাতেই একটু বৃষ্টিতে জলাবস্থার সৃষ্টি হয়ে এলাকাবাসীর অস্থতিতা বাড়িয়ে তোলে। তার ওপর আবার বর্ষা মওসুম শেষ না হতেই শহর রক্ষা বাঁধে এসব গর্ত ও ফাটল দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। এরআগেও এ বাঁধটি বর্সা মওসুমে ভেঙ্গে গেলে এলাকাবাসীকে চরম দূর্ভোগসহ অনেক ক্ষতি পোহাতে হয়েছে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এ বাঁধের দু’পাশের নদীর তীরের মাটি ও রেলওয়ের কৃষি জমির মাটি এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি অনৈতিকভাবে বিক্রি করে আসায় আর ক্রেতারা এসব মাটি নিয়ে যেতে ট্রাক্টর ব্যবহার করায় দিনে-রাতে ৫-৮টি করে ট্রাক্টর প্রতিনিয়ত এ বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচল করায় প্রতিবছরই বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছে। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের কাজ অব্যাহত থাকায় বাঁধটি প্রতিবছরই গর্ত-খানখন্দে ও ফাটলে নষ্ট হচ্ছে। অথচ, এ বিষয়টি দেখার যেনো কেউই নেই। তাই, ভুক্তভোগী এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছেন যে, তিস্তা প্রকল্পের মতো বাঁধডিট সম্পূর্ণ পাকাকরণসহ ট্রাক্টরসহ কোন ভারি যানবাহন যাতে বাঁধ দিয়ে চলাচল করতে না পারে তার জন্য কুন্দলের নর্দান কোল্ডষ্টোরেজ ও পাটোয়ারীপাড়া পয়েন্টে গোলপোস্টের মত পিলার দেওয়ার। কিন্তু, দীর্ঘদিনেও তা’ করা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, আমরা শহর রক্ষা বাঁধটি বন্যার পানি থেকে রক্ষার্থে ব্লক দিয়ে তৈরির প্রকল্প জমা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়নে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনসহ প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া চলমান। এসব সম্পন্ন হলেই বাঁধ রক্ষার্থে কাজ শুরু করা হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে