ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রানা হামিদ (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাঙ্গলবাধ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়।

এরপর স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে মারা যায়।

নিহত রানা ৮নং ধলাহরা চন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া সে ২০২৪ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন।

৬৭৩টি উফশী ফসলের জাত ও ১হাজার ৩৪৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বারি

স্থানীয়রা জানান, রানা হামিদ উপজেলা নাঙ্গলবাধ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার গ্রাম কাশিনাথপুর পৌছালে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে। এসময় সে প্রাণ ভয়ে নিলুফা নামে এক নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় নিলুফা তার ঘরে তালা দিয়ে লুকিয়ে রাখে। কিন্ত্রু সন্ত্রাসীরা তার ঘরের তালা ভেঙ্গে তাকে পিটিয়ে জখম করে রেখে চলে যায়।

এর আগে ২২ জুলাই সোমবার রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা বন্দেরখালি ব্রীজের পাশে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিয়ার রহমান কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা। চেয়ারম্যান বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার রাতে চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা মোটরসাইকেলযোগে তার বাড়ি কুশোবাড়িয়া গ্রামে ফিরছিলেন।

এসময় বন্দেরখালি ব্রীজে পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা অস্ত্রধারীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসাতালে আনলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা রেফার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানা হামিদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছে।

নাঙ্গলবাধ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপাত্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলযোগকে কেন্দ্র করেই আজকের হত্যাকান্ডটি হতে বলে ধারনা করছি।

শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধরী জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছেছে। এখন তদন্ত চলছে, তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

যাযাদি/ এম