শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

সৈয়দপুরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ, শতাধিক আহত

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ১৮ জুলাই ২০২৪, ২০:৫৪
ছবি-যায়যায়দিন

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চলমান কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগে সরকারি পরিপত্র বহাল রাখার দাবির আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক আহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশের রাবার-বুলেট ছোঁড়া আর আান্দোলনকারীদের পাথর ছুঁড়াসহ ট্রাফিক পুলিশ বক্স সহ বিভিন্ন পয়েন্টে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুরো শহর যেনো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

শহরের সকল দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়, সাধারন পথচারীসহ মানুষজন নিজ-নিজ নিরাপত্তার জন্য পালানো শুরু করে। সৈয়দপুরে এরকম দৃশ্য স্বাধীনতার পর দেখা যায়নি।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুল হুদা জানান, পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা সহ প্রায় ৮০-৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এরমধ্যে গুরুতর আহত একজন মহিলাসহ দুইজন পুলিশ কনস্টেবল ও ছোঁড়া গুলির স্পিলিন্টার চোকে প্রবেশ করায় ৪ জন আন্দোলনকারীকে উন্নত চিকিৎসার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কোট সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থান করে ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এদিন শিক্ষার্থীরা সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে একত্র হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পাঁচমাথা মোড়ে যায়। সেখানে নিহতের স্মরণে এক মিনিটি নীরবতা পালন করেন। দুপুর ১টার সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী তিতুমীর একপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেন। প্রায় আধাঘন্টা ট্রেনটি আটকে রাখেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাদের সাথে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসলে সংঘর্ষ হয়। এত করে উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বিকেল পৌণে পাঁচাটার দিকে জানান, আমরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ব্যস্ত রয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনি ট্রেন অবরোধে ঘটনায় মধ্যস্থতা করতে গেলে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলেও জানান।

বিক্ষোভকারীরা সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালেও যান এবং সেখানে সমাবেশ করেন। সৈয়দপুরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন এবং নানা ¯েøাগান দেন।

বক্তারা বলেন, সরকারি সব চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। কোটা বাতিল না হলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। কোটা বাতিলের দাবি দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এখন পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি নিহত ও আহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এদিকে সৈয়দপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো শহর জুড়ে আতংক বিরাজ করছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে