শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

শেরপুরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন খাতা ছিনতায়ের অভিযোগ

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
  ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৯
ছবি-যায়যায়দিন

শেরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাইকুড়া এ-আরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির রেজুলেশন খাতা ছিনতাই ছিনতাইয়ের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি রেজুলেশন খাতা।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনের রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও খাতা উদ্ধার করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। উল্টো ফলাফল বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া এ-আরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচনের পর ১ জুলাই নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতি নির্বাচন করা হয়।

এতে প্রার্থী হন ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহাদত হোসেনের স্ত্রী নিলুফা আক্তার ও স্থানীয় সমাজ সেবক মো. আলমগীর হোসেন।

আকাধিক প্রার্থী হওয়ায় উপস্থিত (নয় ) ৯ সদস্য গোপন ভোট প্রদান করেন। এতে ৫ ভোট পেয়ে আলমগীর হোসেন নির্বাচিত হন। ৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন চেয়ারম্যানের স্ত্রী নিলুফা আক্তার।

পরে সদস্যদের উপস্থিতি স্বাক্ষরসহ নির্বাচনের রেজুলেশন লেখা হয় রেজুলেশন খাতায়।

নির্বাচনে স্ত্রীর পরাজিত হওয়ার খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ও নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের উদ্দেশ্যে প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন তার ফুপাত ভাই মুকুল মিয়াকে সাথে নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ঢুকে ওই রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছি। এতে আলমগীর হোসেন ৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তখন কমিটির সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক নির্বাচনী ফলাফলের রেজুলেশন লিখতে গেলে চেয়ারম্যান শাহাদত ও তার ফুফাত ভাই মুকুল রেজুলেশন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এবিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে রেজুলেশন খাতা উদ্ধারের জন্য আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক কোন প্দক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন এর দায়ভার প্রধান শিক্ষককে নিতে হবে।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান শাহাদত বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমি যদি রেজুলেশন খাতা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকতাম তাহলে আমার নামে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ দিলেন না কেন।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমানের কাছে সাথে কথা বলতে মোবাইলে ফোনে বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

ভোটে বিজয়ী প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ম্যানেজিং কমিটির ভোটে বিজয়ী হয়েছি। অফিস থেকে খাতা ছিনতাই করে নেয়ায় আমি কর্তৃপক্ষের পরামর্শে থানার এবং ইউএনও মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনাটি এমপি মহোদয় সম্পুর্ণ অবগত আছেন। দুই সপ্তাহ হয়ে গেল আমি কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। আমি এই ঘটনার প্রতিকার চাই এবং বিজয়ী হিসেবে দায়িত্ব বুঝে পেতে চাই।

বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: আশরাফুল আলম রাসেল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-ঝিনাইগাতী পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । এবং তদন্ত কমিটি রির্পোট ও দিয়েছেন । সে রির্পোট বোর্ডে পাঠানো হয়েছে , বোর্ড সিদান্ত দেবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে