শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

শেরপুরে দশলাখ টাকা চাঁদা দাবি : মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি
  ১২ জুলাই ২০২৪, ১৪:৫৬
-ফাইল ছবি

মামলার বিবরনে বলেন মেসার্স আক্রাম এন্টারপ্রাইজ তার ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছেন । ২০২৩-২০২৪ এ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল.জি.ই.ডি) এর অধিনে ৪ (চার কোটি) ৭ মোঃ এমদাদুল হক বি.সি-৭৩৯৬০৫৩ইস্টভ) লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা টু গাজীরখামার পাকা সড়কে (০০-৩৫০০ মিটার), সরকারের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে ।

এবং কাজটি রংপুরের মেসার্স খাইরুল কবির রানা প্রাপ্ত হইলে তিনি পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় কাজটি আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করি –কাজের ৮০ ( আশি)ভাগ কাজ শেষ করা হয় ।

ঘটনার দিন ম্যানেজার মোঃ মাহাবুব ও মোঃ ফরহাদ হোসাইন, (সাইট ইঞ্জিনিয়ার),কাজের তদারকির জন্য বাজিতখিলা টু গাজীরখামার সড়কের কামারপাড়াস্থ পাঁচ রাস্তার মোড়ে অবস্থানকালে আসামী সাদ্দাম এর নেতৃত্বে ১০/১২ সন্ত্রাসী ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন তাদের ঘেরাও ও জিম্মি করিয়া ফেলে এবং । উক্ত নির্মাণ কাজ নিরাপদে করার জন্য (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় কাজ বন্ধ করাসহ কাজে ব্যবহৃত মালামাল লুট করিয়া লইবে মর্মে হুমকি দেয়।

তৎপর তাৎক্ষনিক বিষয়টি অবগত হইয়া আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছিলে আসামীগণ আমার নিকটও চাঁদা দাবী পুনর্ব্যক্ত করে এবং অন্যথায় কাজ বন্ধ করাসহ কাজে ব্যবহৃত মালামাল লুট করিয়া লইবে মর্মে হুমকি দেয়। আমিও চাঁদা দিতে অস্বীকার করিয়া চলিয়া আসিলে আসামীগণ মোঃ সাদ্দাম মিয়া (২৫), পিতা- মৃত দুলাল মিয়া, সাং- সুলতানপুর, মোঃ সাখাওয়াত মিয়া (২৪), পিতা- সাদ মিয়া, সাং- মুদিপাড়া, মোঃ লিটন মিয়া (২৫), পিতা- মোঃ জমসেদ আলী, সাং- মধ্যসুলতানপুর, নূরে আলম সিদ্দিক (৩৮), পিতা- মৃত সালাম মাস্টার, সাং- খরখরিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া (২৮), পিতা- মেজর মিয়া, সাং- সুলতানপুর, মোঃ কমান (২৭), পিতা- ওহাব আলী মেম্বার, সাং- পাঁচ রাস্তার মোড়, মোঃ ইউনুছ মিয়া (৩৫), শ্বশুড়- মোঃ আব্বাস মিয়া, সাং- বাজিতখিলা, মোঃ সুলতান মিয়া (৩০), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- কান্দিপাড়া, মোঃ রুস্তম আলী বসা (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- বাজিতখিলা, মোঃ শাকিল মিয়া (২২), পিতা- আব্বাস, সাং- পাঁচ রাস্তার মোড়, সর্ব উপজেলা/থানা- শেরপুর সদর, জেলা- শেরপুরসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।

পাঁচ রাস্তার মোড়, এতিমখানা মোড় ও কালিতলা বাজারস্থ রাস্তার বিভিন্ন অংশে শাবল দ্বারা কার্পেটিং উঠাইয়া ফেলে। উক্তাবস্থায় আসামীগণ ইং ০২/০৬/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত টানা ৩ (তিন) দিন রাস্তার বিভিন্ন অংশে খুড়াখুঁড়ি করিয়া প্রায় ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার ক্ষতিসাধন করে।

পরবর্তী তে আমিও চাঁদা দিতে অস্বীকার করিয়া চলিয়া আসিলে আসামীগণ পাঁচ রাস্তার মোড়, এতিমখানা মোড় ও কালিতলা বাজারস্থ রাস্তার বিভিন্ন অংশে শাবল দ্বারা কার্পেটিং উঠাইয়া ফেলে আমার (পাঁচ লক্ষ) টাকার ক্ষতিসাধন করে। এবং নির্মাণকাজ আসামীদের হুমকি ও দাপটের কারণে কয়েক দিন বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে বাদী আলহাজ্ব মোঃ আক্রাম হোসেন (৫৩) বলেন শান্তিপূর্ণ আপোষ-মিমাংসার জন্য স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল মহল সময় লওয়ার পরও সময় ক্ষেপন করায় আপোষ-মিমাংসা সম্ভব না হওয়ায় থানায় আসিয়া অত্র লিখিত অভিযোগ করি ।

এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্ম্কর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন গত ১০-০৭-২৪ ইং তারিখে শেরপুর সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়- মামলা নং-২৮/(১০-০৭-২০২৪)।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে