জামালপুরে প্রাইভেটকার চালক আরিফ হত্যা মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: সুলতান মাহমুদ এই রায় দেন।

মামলার রায়ের সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২৮ আগষ্ট রাতে প্রাইভেটকার চালক আরিফ (২৮) জামালপুর সদর উপজেলার শেহরাতলী এলাকায় তার গাড়ীর মালিক মো: আল ফারুককে (৪০) নামিয়ে দিয়ে নান্দিনা বাজারের একটি গ্যারেজে গাড়ী রেখে মোটরসাইকেলে করে সদর উপজেলার মাছিমপুরে নিজ বাড়ীতে ফিরছিলেন।

ফেরার পথে হামিদপুর গ্রামের বালুরঘাট সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নির্মমভাবে আরিফকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে দুবৃত্তরা। এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় নিহতের পিতা মো: বদিউজ্জামান (৫০) জামালপুর থানায় বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

এরপর হত্যার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী ও মো: সাব্বির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ওই দুই আসামী উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট তাদের জামিন না দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ প্রদান করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে জামালপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: সুলতান মাহমুদ তার আদালতে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ৩৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

৬৭৩টি উফশী ফসলের জাত ও ১হাজার ৩৪৪টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বারি

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলাটির বিচার সম্পন্ন করে বহস্পতিবার ৪ আসামীর উপস্থিতিতে প্রত্যেককে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আলী, জামালপুর পৌর এলাকার মুসলিমাবাদ এলাকার মৃত ফারুকের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার নুর হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন, বাদশা মিয়ার ছেলে রবিন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: আবুল কাশেম তারা ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদা খান মজলিস তানিয়া।

যাযাদি/ এম