নীলফামারীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে শিক্ষক নিহত, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২৪, ১৮:২৫ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩২

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
প্রতীকী ছবি

নীলফামারীর পল্লীতে জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া ইন্দ্রমোহনপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সদর থানায় মামলা হলে পুলিশ এ রির্পোট লেখা পর্য়ন্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত শিক্ষক ভীষ্মদেব রায় (৬০) ওই গ্রামের মৃত বিপীন চন্দ্র রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় আহত অপর দুই ব্যক্তিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভীষ্মদেব রায়ের কৃষি জমিতে বেশ কিছুদিন ধরে দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন একই গ্রামের গুচ্ছগ্রাম এলাকার জনৈক জাহিদুল ইসলামসহ (৩২) একদল দুর্বৃত্ত।

এমন অপচেষ্টায় বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) সকালে দলবল নিয়ে ওই জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে যান জাহিদুল ইসলাম।

এ সময় ভীষ্মদেব রায় ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ভীষ্মদেব রায়, তাঁর বড় ভাই ফুলফুমার রায় ও ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায় গুরুতর আহত হন।

এলাকাবাসী তাঁদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে ভীষ্মদেব রায়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় নিহত ভীষ্মদেব রায়ের ভাতিজা দিবাকর রায় বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন (৩৪), মো. পিয়ারুল ইসলাম (৩০), মো. ফজলে করিম (৬০), মো. আফজাল হোসেন (৩৫), মো. আইয়ুব আলী (৪৮), মো. আজাহারুল ইসলামের (৪৫) নামে মামলা করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা দিবাকর রায় বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাচঁজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষী ব্যক্তির বিষয়ে চার্জশীট দেয়া হবে।


যাযাদি/এসএস