রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে ৩টি সিজার সম্পন্ন

এনায়েত মজুমদার, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
  ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৪:৩৫
ছবি: যায়যায়দিন

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতালে গত দুই বছর যাবৎ অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রমটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নঈম যোগদানের পর সিজারিয়ান কার্যক্রম শুরু করেন।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে গাইনি ডা. মাহমুদা বেগম, ডা. ফারহানা হোসাইন ও অ্যানেস্থেসিয়া ডা. আবিদা সুলতানার নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ ওলিপুরের আদিবা (২৫), হাজীগঞ্জ এনায়েতপুরের সালমা (২৫) ও ফরিদগঞ্জ কামতা বাজারের হাওয়া (২৩) এই ৩ জনের সিজারিয়ান অপারেশন সফল ভাবে কার্যক্রম করা হয়। বর্তমানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জামাল উদ্দিনের তত্তাবদানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নঈম উপস্থিত ছিলেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নঈম যোগদানের পর সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় কি ভাবে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেন। তা তিনি সফল হয়েছেন। নাম-মাত্র ফি দিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে কেউই এ সিজারিয়ান সেবা নিতে পারেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে প্রতিদিনই নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রম চালু রয়েছে।

সরকার সারাদেশে প্রতিটি জেলায় একটি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণার অংশ হিসাবে ‘হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ জেলার মডেল হিসাবে মনোনীত হয়। চাঁদপুরের ৮টি উপজেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সকে ‘মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ হিসেবে ঘোষণা করায় ইতিমধ্যে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা, সেই সাথে বেড়েছে সেবার মান। কিন্তু রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী বাড়েনি বেডিং ব্যবস্থা। তাই বর্তমানে ৫০ শয্যা বেড়ে মডেল হিসেবে ১০০ শয্যা উন্নতি করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা জানান, মডেল কমপ্লেক্সে সুবিধা পেয়ে ইতোমধ্যে চাহিদার প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রপাতির পেয়ে কাজ করেছি। আমরা চাই মডেল কমপ্লেক্সে হিসাবে পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধি করতে। আমরা সবাই মিলে যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে গেছে আরো যাবে। যা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে অনেকটা এগিয়েছে। বর্তমানে এ মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা বেড়ে ১০০ শয্যা উন্নতি করা হলে আর তেমন কোন সমস্যা থাকছে না।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে