পাথরঘাটায় রাস্তায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ, আটক ৭

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪৫

পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
ছবি যাযাদি

বরগুনা পাথরঘাটায়  উপজেলা নির্বাচনে জেরে ধরে রাতের আধারে জেলে শ্রমিক মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়েছে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের এনামুলের বিরুদ্ধে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় এঘটনায় জরিত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রাত ১০ টার দিকে দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া একচল্লিশ ঘর নামক এলাকায় শহিদুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

শহিদুল ইসলাম হাওলাদার একই এলাকার মৃত বাহার আলী হাওলাদারের ছেলে।

আটককৃতরা হলো,  উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন চরদুয়ানী এলাকার মোঃ সগির হাওলাদারের ছেলে মোঃ সুমন (২২), খলিলুর রহমানের ছেলে নাজমুল (১৮), লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে রাসেল (২০), মৃত আর রশিদের ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫), আফজাল মল্লিকের ছেলে রিমন মল্লিক(১৯), লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার (৪৯), মৃত সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস(৩০)।

নিহত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, তার স্বামী পেশায় একজন জেলে শ্রমিক। রাত ১০টার দিকে জ্ঞানপাড়ার বান্দাঘাটা এলাকার মহাজন বনি আমিনের সাথে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়িতে আসার পথে মন্নান বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস, জাকির বিশ্বাসের ছেলে রুবেল বিশ্বাস, নুরু মল্লিকের ছেলে আব্বাস মল্লিকসহ ৫ থেকে ৬ জন লোক তার স্বামীর উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতকিত হামলা করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত দেড়টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশিদা তানজুম হেনা জানান, রাত দেড়টার দিকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে প্রায় ২০ টির মতো ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়াও পায়ের রগ কাটা ছিল। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বরগুনা ময়না তদন্তের শেষে লাশটি পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ারে নিয়ে আসলে জনতা লাশটি নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, হত্যাকান্ডের পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জরিত থাকার সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে। এঘটানায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


যাযাদি/এসএস