শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

দেড় যুেগও চালু হয়নী ইন্দুরকানীর কলারন-সন্ন্যাসী ফেরিঘাট

আবুল কালাম, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)প্রতিনিধি
  ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫১
ছবি-যায়যায়দিন

দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বন্ধ হয়ে আছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারন-সন্ন্যাসী ফেরিঘাট। বারবার আশ্বাস দিয়েও চালু হয়নি ফেরি চলাচল। ফলে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী কয়েক হাজার যাত্রী।

জানা যায়, পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর সংলগ্ন পানগুচি নদীতে কলারন-সন্ন্যাসী ফেরি ঘাটটি ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হয়। চালুর এক বছর পর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরে প্রান্তের ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। এরপর প্রায় ১৮ টি বছর কেটে গেলেও চালু করা হয়নি পিরোজপুর-মোরেলগঞ্জ- মোংলা-শরণখোলা রুটের এই ফেরি ঘাটটি।

ফলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ। দুপাড়ের যাত্রী উঠানামার ঘাটটিও রয়েছে জরাজীর্ণ ভাংগা অবস্থায়। যাত্রীরা কোনমতে উঠানামা করতে পারলেও মটর সাইকেল উঠানামার ক্ষেত্রে থাকে প্রচুর ঝুঁকি। দুপাড়ের ঘাটের অবস্থা ভাল না থাকায় অনেক সময় নদীতে পড়েগিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় যাত্রী সাধারনদের।

সন্ন্যাসীর ওপরের যাত্রীদের ট্রলারে করে নদী পাড় হয়ে কলারন ঘাট থেকে বাসে উঠে পিরোজপুর জেলা শহর এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।

এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ডিউলেটার এবং অনেক দিন যাবত সংশ্লিস্ট দপ্তরের চিঠি চালাচালিতেও কোন কাজ না হওয়ায় ফেরি ঘাটটি অদ্যবধি চালু হচ্ছেনা।

স্থানীয় কলারন আবাসনের বাসিন্দা মোতালেব জোমাদ্দার বলেন, নদীটি পার হতে ট্রলারই আমাদের একমাত্র ভরসা। তা আবার বর্ষা মৌসুমের বৈরী আবহাওয়ায় প্রায়ই বন্ধ থাকে। বর্ষার সময় নদীতে বেশি ঢেউ থাকায় ট্রলারে করে নারি ও শিশুদের নিয়ে নদী পারাপার অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

বারবার আশ্বাসের পরও অজানা কারণে চালু হয়নি ফেরি চলাচল। ফলে, অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। আমাদের দাবি হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আবারও কলারণ সন্নাসীর ফেরি চালু করা হোক।

রবিউল নামে অন্য ্একজন বলেন, প্রায়ই এই ঘাট থেকে যাতায়াত করি। সব সময় ট্রলার না থাকার কারণে আমাদের অনেক সময়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন বলেন, এই ঘাটটি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে ফেরি না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নারি শিশুদের নিয়ে পারা পারেচরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়রম্যান মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, এ ফেরিঘাটটি পুুনরায় চালু হলে ইন্দুরকানী উপজেলার সাথে শরনখোলা, সুন্দরবন, মোড়েলগনজ ও মোংলার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা সহজ হবে। এর ফলে ঝ্যাবসা বানিজ্যেরও একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, বলেশ্বর নদীর কলারন- সন্ন্যাসী ঘাটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি ফেরি ঘাটটি পুনরায় চালু করার জন্য।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে