বিদ্যালয়ের গাছ কেটে ফেলায় শিক্ষক দম্পতির নামে অভিযোগ

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:২২

হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

প্রধান শিক্ষক ও তার স্বামী  মিলে অষ্টগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘ টনায় প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগটি দিয়েছেন মো. রেশম আলী নামে এক ব্যক্তি। 

তিনি বিদ্যালয়ের প্রতিবেশী এবং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মো. আব্দুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন। তিনি অভিযোগটি দিয়েছেন ২ জুলাই। অভিযোগে তিনি গাছগুলো আত্মসাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

রেশম আলী তার লিখিত অভিযোগে বলেছেন, গত ১ জুলাই তিনি বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এ সময় দেখতে পান, কাঠুরিয়ারা দুটি মেহগিনি, দুটি ইউকেলিপটাস ও একটি কাঁঠাল কেটে ফেলছেন।পরে জানতে পারেন গাছগুলো প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান গাছগুলো নিয়ে গেছেন। পাঁটি গাছের মূল্য আনুমানিক এক লাখ টাকা। অভিযোগে আরও বলা হয়, কোন গাছ কাটার জন্য সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী বিদ্যালয়ের উপজেলা সমন্বয় কমিটি রয়েছে। তারা সমন্বয় কমিটিকে না জানিয়ে পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছেন। রেশম আলী এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তার অভিযোগপত্রে।

অভিযোগকারী রেশম আলীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে।প্রথমে গাছগুলো উপজেলা সদরের একটি স’মিলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ প্রদানের পর গাছগুলো আবার বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,প্রধান শিক্ষক তার পরিবার নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ের দোতলায় বসবাস করছেন। এটিও অন্যায়ভাবে করছেন। 

গাছের বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। 

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক এর স্বামী প্রধান সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান যায়যাদিনকে বলেন, গাছগুলো হেলে বিদ্যুৎ এর তারে পড়ে গিয়েছিল তাই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদেরকে নিয়ে আলোচনা করে গাছগুলো কাটা হয়েছে। বিদ্যুৎ এর তারে পড়ার বিষয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে জানাল হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন না। 

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না গাছ কাটার বিষয় তাদের চোখে পড়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. দিলশাদ জাহানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি গাছের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্যই গাছগুলো কেটে ফেলা দরকার ছিল। এর জন্য একটি কমিটি আছে। কমিটিকে অবহিত না করে গাছগুলো কাটা হয়েছে।  গাছগুলো বিদ্যালয়েই আছে। তবে নিয়ম বহির্ভুতভাবে গাছ কাটার কারণে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে তখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

যাযাদি/ এসএম