পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ঝুকিপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ে গিয়ে সুজন হাওলাদার নামের এক যুবক আহত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আমলাভাঙ্গা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ওই যুবক উনিশ নম্বর (রাঙ্গাবালী) গ্রামের সালাম হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর আগে আমলাভাঙ্গা খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। খালের পশ্চিম পাড়ে কাছিয়াবুনিয়া এবং পূর্ব পাড়ে রাঙ্গাবালী গ্রাম ফলে প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে কয়েকশত মানুষ এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করতো। দীর্ঘদিন যাবত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো সেতুটি। এমনকি সেতুটির মাঝখানে ঢালাই সরে গিয়ে রড বের হয়েছিলো। ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও কারো নজরে আসেনি। শুক্রবার সকালে সেতুটি ভেঙে গিয়ে একজন আহত হয়।

আহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সকালের মহিষ নিয়ে খালপাড় হচ্ছিল সুজন। এসময় মহিষের একটি বাচ্চা সেতুর ওপর উঠে গেলে মহিষটাকে নামাতে সেতুতে সুজনও উঠে পড়ে। তবে, মহিষ দ্রæত নেমে পড়লেও সুজন মাঝামাঝি থাকা অবস্থায় সেতটিু ভেঙে পড়ে যায় খালে, সাথে সুজনও। এসময় তার মাথা ফেটে যায় এবং হাত ও পিঠে মারাত্মক জখম হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে রাখা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এটি একটি পুরাতন ব্রীজ ছিল। অনেক আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড সাঁটানো জন্য তালিকাও করেছি। এর মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো। ইতোমধ্যে এলজিইডি কেও অবহিত করা হয়েছে। ওখানে নতুন একটা বীজ স্থলাভিষিক্ত করা যায় সেই প্রক্রিয়া চলমান।’

যাযাদি/ এসএম