ভোলার দৌলতখানে এইচএসসি পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় জিতু (১৮) নামের এক পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডে (কালু মৃধা) নিজ বাড়ি থেকে ওই পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দৌলতখান থানার ওসি সত্যরঞ্জন খাসকেল জিতুর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিতু ওই ওয়ার্ডের জসিম মাস্টারের একমাত্র ছেলে। তিনি এবার দৌলতখান সরকারি আবু আবদুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম জানান, জিতু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। স্থানীয় কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। গতকাল তিনি ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে পরীক্ষা ভালো হয়নি। এর আগের দু’টি পরীক্ষা বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষাও ভালো হয়নি। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে জিতু আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরো জানান, এর আগে টেস্ট পরীক্ষায় জিতু ছয়টি বিষয়ে ফেল করেছিলেন। পড়াশোনায় তার তেমন কোনো মনোযোগ নেই। পুলিশ এবং পরিবারের ধারণা- পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে জিতু আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি সত্যরঞ্জন খাসকেল বলেন, পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন চলছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যাযাদি/ এস