শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে মানুষ পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
হাতিবান্ধা, মালঝিকান্দা,গৌরিপুর, ধানশাইল ও ঝিনাইগাতী ইউনিয়নের অনেক পরিবার বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে বন্দি হওয়া পরিবারগুলো নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করছে।
বন্যার পানিতে ভাটি এলাকার মানুষগুলো জনদূর্ভোগ পোহাচ্ছে । উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের নির্দেশে শুকনো খাবার, ঢেউটিন ও নগদ চেক বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার পানিতে ৬০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন থেকে মহারশি নদির বাধ নির্মাণের দাবি তুলে আসছে । তা বস্তবায়নের জন্যে জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ এবং সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন উজান থেকে বন্যার পানি নেমে নিম্ম অঞ্চলে যাচ্ছে । জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে আমরা কাজ করছি। ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে এবং নজরদারি রাখতে।
প্রতি বছর বন্যা থেকে বাঁচতে স্থায়ীভাবে পরিকল্পনা করে বেরিবাধ নির্মাণের প্রয়োজন এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।
যাযাদি/ এম