সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

নাটোরে রিকশা চালককে পেটালেন পুলিশের এএসআই

নাটোর প্রতিনিধি
  ২৯ জুন ২০২৪, ১৪:৩৫
ছবি-যায়যায়দিন

নাটোরের সিংড়ায় এক অটোরিকশা চালককে পেটালেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম রেজা। এঘটনার ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ রোড এলাকার দেশ ফার্নিচারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সিংড়া থানায় কর্মরত।

ভূক্তভোগী ওই রিকশা চালকের নাম. হারুন আলী। তিনি সিংড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাইশা গ্রামের বাসিন্দা। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রিকশা নিয়ে চালক হারুন আলী দমদমা থেকে সিংড়া বাসষ্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। এসময় চালক উপজেলা পরিষদ রোড এলাকার দেশ ফার্নিচার দোকানের সামনে পৌঁছালে এসআই সেলিম রেজা রিকশা থামায়। এরপর এএসআই, এক পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজন তার রিকশায় উঠে সিংড়া বাসষ্ট্যান্ডে নিয়ে যেতে বলেন।

এসময় চালক হারুন বলেন, স্যার ব্যাটারী সংযোগ লুস হয়ে গেছে, গাড়ি যাচ্ছে না। অনেক কষ্টে আমি হাত দিয়ে তার ধরে এ পর্যন্ত এসেছি। এরপর ভিডিওতে এসআই কে বলতে শোনা যায়, আরে বেটা আমি তোরে বলছি তুই যা, একে বারে কান ফাটাই ফেলাবো। একই সাথে অকথ্য ভাষায় চালককে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায় এএসআই ক্ষুদ্ধ হয়ে তার হাতে থাকা টস লাইট দিয়ে চালকের মাথায় আঘাত করতে থাকেন। পরে আবারও দ্বিতীয় দফায় চালকে মারধর করতে দেখা গেছে। এসময় চালকের কান্নায় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাদের ধমক ও গালি দিয়ে সরিয়ে দেন এএসআই। এরপর চালক ওই এএসআইসহ তিনজনকে নিয়ে ঠেলে ঠেলে বাসষ্ট্যান্ডের দিকে চলে যান।

ভূক্তভূগি রিক্সা চালক হারুন আলী সাংবাদিকদের বলেন, রাতে দমদমায় আমার রিকশার মিটারের তার ছিঁড়ে যায়। আমি এক হাত দিয়ে তার চেপে অনেক কষ্টে বাসষ্ট্যান্ডে যাচ্ছিলাম। এসময় কোর্ট মাঠ পার হলে দুই পুলিশসহ তিনজন রিকশা থামায়। তারা আমাকে বলেন, তোরে সিগন্যাল দিলাম, দাঁড়ালি না কেন। আমার সমস্যার কথা জানালে ওই পুলিশ (সেলিম রেজা) আমাকে মারধর করতে থাকেন। পরে আমার নষ্ট গাড়িতে তিনজন উঠে জোর করে আমাকে দিয়ে টেনে সিংড়া বাসষ্ট্যান্ডে নিয়ে যায়। আমরা গরীব মানুষ বলে কি আমাদের কোনো সমস্যা থাকতে নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই সেলিম রেজা পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আমি কেন রিকশা চালককে মারধর করবো? এটাতো আমার কাজ নয়।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা ওসি আবুল কালাম বলেন, এ বিষয়টি আমি জানি না। কি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবো। নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নাই। তরে অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ভাবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে