টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সকল নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ১২ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে ৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। আরও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানাগেছে। এ পর্যন্ত সরকারী ভাবে মাধবপুর গালিবপুর আশ্রয় কেন্দ্রে ১ টন চাল দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দীঘলবাকের মথুরাপুর ডাইকের অবস্থা ঝুঁকিপুর্ণ। স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে বালুভর্তি বস্তা ফেলে পানি আটকানোর প্রানপণ চেষ্টা করছেন। তবে যে কোন সময় বাধঁ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন।
সরজমিনে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ডাইক উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
এতে গালিমপুর, মাধবপুর, আহমদপুর, কুমার কাঁদ, দুর্গাপুর, কসবা, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, ঢালার পাড় এবং ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মাধবপুর স্কুলে ঈদের আগেই বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সে সময় সরকারীভাবে তাদেরকে ১ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রায় শতাধিক পরিবার অবস্থান করছেন এখানে। ইনাতগঞ্জে ৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উক্ত আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিতে ছুটাছুটি করছেন।
কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার্তদের দেখার জন্য এবং সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে ওই সব এলাকায় ছুটে যান এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শেফু, ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল জাহান চৌধুরী, দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া, ওসি মোঃ মাসুক আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল, আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
যাযাদি/ এম