বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১

আড়াই লাখ টাকার গরুর চামড়া ১৫০ টাকা

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
  ১৭ জুন ২০২৪, ২০:০৯
ছবি যাযাদি

ফেনীর পরশুরামে কোরবানি পশুর চামড়ার আশানুরূপ দাম না পাওয়ার কারণে স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছেন অনেকে। উপজেলা জুড়ে গরুর চামড়া সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে অপরদিকে ছাগলের চামড়া ফ্রিতে নিতেও আগ্রহী নয় মৌসুমি ক্রেতারা।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা পাওয়া যায়নি মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। পরে কেউ কেউ নামমাত্র মূল্যে চামড়া বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাদ্রাসায় দিয়ে দেন।

উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘আমার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রি করেছি মাত্র দেড় শ টাকা। এর চেয়ে বেশি দাম দিতে রাজি হননি স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ী।’

উপজেলা বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল্লাহ মামুন বলেন, 'আমার এলাকায় সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা দামে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ছোট গরুর চামড়া মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকা মধ্যে তবে বেশিরভাগ লোকজন স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানা পশুর চামড়া দিয়ে দিয়েছেন'।

উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দুই গুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এম শফিকুল হোসেন মহিম জানান, তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরু কোরবানি দিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী আসলে দেড়শ টাকার দিয়ে চামড়া বিক্রি করে দিস।

গদানগরের এলাকার বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী জানান, তাঁর গরুর চামড়া দেড় শ টাকা দাম বললে চামড়া বিক্রি না করে মাদ্রাসায় দিয়ে দিয়েছেন।

সত্যনগর গ্রামের বাসিন্দা ও পরশুরাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু ইউসুফ মিন্টু জানান, তাঁরা শরিকে কোরবানির জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছেন। আজ সকাল থেকে চামড়ার কোনো ক্রেতা না পেয়ে দুপুরের দিকে দেড় শ টাকার দরে বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী জাফর আহাম্মদ জানান তিনি আবুল হাসেম নামের ফেনীর এক পাইকারি ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তাকে দেড়শ টাকার বেশি দিয়ে গরুর চামড়া কিনতে নিষেধ করা হয়েছে বেশিরভাগ গরুর চামড়া ১৫০ টাকা দরেই কিনেছেন। জাফর আরো জানান তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বেশিরভাগ লোকজন গরুর চামড়া স্থানীয় এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছেন।

পরশুরাম বাজারের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পরশুরাম, মির্জানগরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-বড় সাইজের আড়াই শ চামড়া কিনেছেন সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। তবে বেশির ভাগ ১০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছি।’

তহিদুল বলেন, ‘গ্রাম থেকে ঘুরে ঘুরে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে চামড়া কিনেছি।’ প্রতি শ্রমিকের বেতন ২ হাজার টাকা কাঁচা চামড়ায় লবণ যুক্ত করা এবং পরিবহন খরচ মিলিয়ে চামড়ায় তিনি লোকসানের আশঙ্কা করছেন। এখন পর্যন্ত চামড়া ব্যাপারীরা গড়ে ২০০ টাকা করে বলে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে