পটুয়াখালীতে জমে উঠেছে কোরবানী পশুর হাট
প্রকাশ | ১৫ জুন ২০২৪, ১৩:৪৪
পটুয়াখালীতে জমে উঠেছে কোরবানী পশুর হাট। জেলার ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা শহরের হাট গুলোতেও এখন ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। তবে গত কয়েকদিন হাটে বেচা বিক্রি কম হলেও শনিবার থেকেই মূলত কোরবানী পশুর মূল বিক্রি শুরু হবে বলে জানান হাট সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী সহ দক্ষিণ অঞ্চলের কোরবানী উপযোগী করে যে সব গবাদী পশু লালন পালন করা হয় তার বড় একটি অংশ গৃরস্ত বাড়িতেই লালন পালন করা হয়। ফলে খামারে লালন পালন করা গরুর থেকে এই গরুর চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ কারনে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে অনেকে সরাসরি মালিকের কাছ থেকে গরু ক্রয় করতে দেখা গেছে। তবে শুক্রবার থেকে অধিকাংশ গরুর মালিক তাদের পশুগুলো হাটে তুলতে শুরু করেন।
পটুয়াখালী হেতালিয়া এলাকার খামারি ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এবার আমি আমার খামারে মোট ৫টি গরু মোটাতাজা করণ করেছি। এগুলো সব আমার নিজস্ব খামারের গরু। তবে গরুর খাবারের যে দাম তাতে খরচ অনেক বেশি হয়। এর পরও যেহেতু খামারে উৎপাদিত বাছুর, সে কারনে সেগুলোকেই লালন পালন করে কোরবান তে বিক্রি উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে বাজারে এখনও পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। অনেকেই গরুর দাম দর করছেন, যেহেতু এখনও কোরবানীর তিন দিন বাকী আছে,হয়তো শনি রবিবার অধিকাংশ গরু বিক্রি হবে। ’
পটুয়াখালী হেতালিয়া বাঁধঘাট পশুর হাটে গরু কিনতে আশা ক্রেতা বাদশা মৃধা জানান, কোরবানীর কয়েকদিন বাকী থাকায় এখনও বিক্রেতারা গরুর দাম ছাড়ছে না। এ কারনে গরু কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাজারে বিভিন্ন সাইজের গরু আছে। সমস্যা হচ্ছে দুই তিন দিন আগে গরু কিনলে তা লালন পালন করা এবং রাখা একটা বড় সমস্যা, এই কারনে শেষ দিকে গরু কিনতে হবে।
এদিকে গত কয়েক মাস থেকেই তিব্র দাবদাহ এবং গরমের কারনে গবাদী পশু নিয়ে কিছুটা বিপাকে পরেন খামারিরা। এমন পরিস্থিতিতে এই আবহাওয়ায় হাঁটে গরুর প্রতি বাড়তি নজর দেয়ার কথা বলছেন প্রানী সম্পদ বিভাগ। তবে প্রতিটিন হাটেই প্রাণী সম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম কাজ করছে করছে বলে জানান তারা।
বিগত বছর গুলোর মতো এ বছরেও পটুয়াখালী জেলায় উৎপাদিত গরু ছাগল দিয়ে জেলার স্থানীয়দের কোরবানীর চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলায় সরবরাহ করতে পারবেন বলে দাবী জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ফলজুল হক সরদার জানান, পটুয়াখালী জেলায় এবার কোরবানীর জন্য ১২৬৬৭৬ গবাদী প্রাণী লালন পালন করেছেন ৬০৯০ জন খামারি। তবে জেলার জেলায় কোরবানী উপযোগী পশুর চাহিদা রয়েছে ১২৩২১০ টি। এ ক্ষেত্রে ৩৪৬৬ টি গবাদী প্রাণী উদ্বৃত্ত রয়েছে ,যা দিয়ে অন্য জেলার চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে।
এবার পটুয়াখালী জেলায় মোট ২৭ টি পশুর হাটে গবাদী পশু বিক্রি হচ্ছে। হাট গুলোতে প্রাণী সম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিমের পাশপাশি জেলা পুলিশের নির্দিষ্ট টিম কাজ করছে। এসব পুলিশ ক্যাম্পে জাল টাকা সনাক্ত করন সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
যাযাদি/ এসএম