শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১

গাজীপুরে ইসলামী ব্যাংকে জমা দিতে গিয়ে  'খোয়া গেছে' এজেন্ট শাখার ১২ লাখ টাকা 

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ০৫ জুন ২০২৪, ২২:৪০
ফাইল ছবি

গাজীপুরে ইসলামী ব্যাংক মালেকেবাড়ী এজেন্ট শাখা থেকে টাকা নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তায় ইসলামী ব্যাংকে জমা দিতে গিয়ে খোয়া গেল ১২ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ওই এজেন্ট শাখার প্রোপাইটর মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম খান বাদি হয়ে বাসন থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

তিনি জানান, তার এজেন্ট শাখার ক্যাশিয়ার মোঃ ওয়াহিদুর রহমান গত সোমবার (৩ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা মালেকের বাড়ী এজেন্ট শাখা হতে নগদ ১২ লাখ টাকা নিয়ে ইসলামী ব্যাংক গাজীপুর চৌরাস্তা শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি টাকা জমা দিয়ে শাখায় ফিরে না আসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চান্দনা চৌরাস্তা ব্রাঞ্চে তিনি টাকা জমা দেননি। ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় যে, মোঃ ওয়াহিদু রহমান নামে কোনো ব্যক্তি ব্রাঞ্চে টাকা জমা দিতে আসেনি। ওয়াহিদুর রহমানের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে দুটি মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁর আত্মীয়—স্বজনের নিকট বিষয়টি অবহিত করলে তারাও ওয়াহিদুর রহমানের কোন খেঁাজ খবর পায়নি বলে জানায়।

পরবর্তীতে মোঃ ওয়াহিদুর রহমান ওই দিন সন্ধ্যার আগে ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে জানায় তিনি সেখানে আছেন। খবর পেয়ে তার স্বজন ও এজেন্ট ব্যাংকের প্রোপাইটর শরীফুল ইসলাম ফুলপুর গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরে এনে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে মোঃ ওয়াহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি স্কুল ব্যাগে করে ১২ লাখ টাকা নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা যাওয়ার উদ্দেশ্যে মালেকের বাড়ি বাসস্ট্রান্ড থেকে বলাকা বাসে উঠেন। পরে বাসে তার সঙ্গে ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে এক যাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। সন্ধ্যার পর তার চেতনা ফিরলে তিনি তার বাসায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা তাকে ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে উদ্ধার করেন। তবে টাকার কোন সন্ধান মিলেনি।

এ ব্যাপেরে বাসন থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, পুলিশের দেয়া তথ্যমতে জানতে পেরেছি ওই এজেন্ট ব্যাংকের ১২ লাখ টাকা খোয়া গেছে। তবে ঘটনাস্থল গাছা থানা এলাকায় হওয়ায় ভিকটিমকে গাছা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ভিকটিমের কথাবার্তা-আচরণে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি সাজানো। তদন্ত ও ভিকটিমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে টাকা খোয়া যাওয়ার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

এ ব্যাপারে ভিকটিমের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে