রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

পশুর নাম রেখেছে শান্ত, দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা

কালাম সরদার, ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ০৫ জুন ২০২৪, ১৪:২৮
ছবি: যায়যায়দিন

আশরাফুল হক পেশায় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। শখ গরু পালা। প্রতি বছরই কোরবানীর জন্য গরু প্রস্তুত করেন। এবারো করেছেন। স্বভাবে শান্ত হওয়া হলস্টেইন ফ্রিজিয়াম জাতের গরুটির নাম রেখেছেন শান্ত। ওজন প্রায় ২৮ থেকে ৩০ মণ। আশরাফুল হক গরুটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।

আশরাফুল ডামুড্যা উপজেলা কনেশ্বর ইউনিয়নের সুতলকাঠি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। চার বছর ধরে গরুটি লালন পালন করছেন তিনি।

৬ মাস বয়সে কিনে আনেন গরুটি। আনার পর প্রথম এক বছর ঘরের বাইরে বের করলেও আড়াই বছর ঘরের বাহিরে বের করেননি। এটির জন্য সব সময় ফ্যান ছেড়ে রাখতে হয়। প্রতিদিন ৩ বার গোসল করাতে হয়। চারবার এটি খাবার খায়। খাবারের তালিকায় রয়েছে- ভুষি, কুড়া, খইল, জাউ ভাত ও চিটাল। এছাড়া গরুটির সামনে জার্মানি ঘাস রাখা থাকে।

শান্ত লম্বায় ৯ ফুট। বিশালাকার গরুটিকে নিয়ে চলছে মাতামাতি। বিশালাকার গরুটি দেখতে বিভিন্ন গ্রামের লোকজনসহ ব্যবসায়ীরা আসছেন এবং দাম করছেন। দাম পেলেই আশরাফুল হক বিক্রি করবেন শান্তকে।

গরুর মালিক আশরাফুল হক বলেন, ৪ বছর আগে ছয় মাস বয়সে ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি গোসাইরহাট থেকে কিনে আনি। গরুটি দেখে আমার পছন্দ হয়ে যায়। আমি আর আমার স্ত্রী গরুটি লালন পালন শুরু করি। গরুটি অনেক শান্ত তাই আমরা এটিকে আদর করে শান্ত বলেই ডাকি। গরুটি বাড়িতে কেউ ঢুকলেই ডাকা শুরু করে। ঘরের কেউ না আসা পর্যন্ত এটি ডাকতে থাকে। গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যদি কারো নিজের অর্থ না থাকে তাহলে বড় গরু পালন করা ঠিক না। কারণ খাবারের অনেক দাম। ব্যবসায়ীরা গত বছর আমার বাড়িতে এসে গরুর দাম আট লাখ টাকা বলেছে। গরুটি ১৫ লাখ টাকা পেলে বিক্রি করব।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে