সাবেক স্ত্রীর বিয়ের খবরে গলায় ফাঁস নিলেন যুবক

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৪, ১৭:৪৩

নড়িয়া (শরিয়তপুর) প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

শরীয়তপুরের নড়িয়াতে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের খবর শুনে রাব্বি মাদবর (২৪) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই এলাকার মামুন মাদবর এর ছেলে রাব্বি মাদবর । স্বজন ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ৩ বছর আগে একই এলাকার মোঃ মিয়াচান এর কন্যা মিম আক্তার (১৮) এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে রাব্বি মাদবর। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। 

ফলে ৬ মাস পূর্বে মিম আক্তার তার বাবার বাড়ি চলে যায় এবং রাব্বিকে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তালাকের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো। সোমবার দুপুরে মিম তার নতুন বিয়ের খবর রাব্বিকে জানায়। ফলে দুপুরের পর থেকেই সে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পরলে বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যে পরিত্যাক্ত ঘরে দরজা আটকে মীমের ওড়না দিয়েই গলায় ফাঁস দেয় রাব্বি মাদবর। 

সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুজি করতে গিয়ে বাগানের ঘরের মধ্যে রাব্বির মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

রাব্বির মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ভালোবেসে মিমকে বিয়ে করেছিলো। কিন্তু ওদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। ছয় মাস আগে মিম আমার ছেলেকে ছেড়ে চলে যায়। আমার ছেলে মিমকে খুব ভালোবাসতো। গতকাল মিম কল দিয়ে রাব্বিকে তার বিয়ের খবর বলে। আমার ছেলে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মিমের ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

রাব্বির বাবা মামুন মাদবর বলেন, ‘সকালে উঠে আমি রাব্বিকে ওর রুমে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। পরে বাগানের ঘরে গিয়ে দেখি ওর মরদেহ ঝুলছে। আমার ছেলে মিমের কারনে আত্মহত্যা করেছে। আমি ওর বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিম আক্তার বলেন, ‘বিয়ের পর রাব্বি আমাকে প্রচন্ডভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো। আমার শরীরের মধ্যে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমি তাকে তালাক দিয়ে দেই। তালাকের পর তার সাথে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। আমি কিছুই জানিনা।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাগানের ভিতরে একটি ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছি । মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

যাযাদি/ এম