মৌলভীবাজারের জুড়ী টু কুলাউড়ায় আঞ্চলিক সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে আহত ২জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও তিনজন।
রোববার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ভুয়াই-আছুরিঘাট এলাকায় মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জুড়ী উপজেলার কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা দীনবন্ধু মুন্ডা ও তার ছেলে পূজন মুন্ডা এবং দীনবন্ধুর বড় ভাই রবীন্দ্র মুন্ডা।
আহতরা হলেন দীনবন্ধুর স্ত্রী কবিতা মুন্ডা, আরেক বড় ভাই গোপাল মুন্ডা ও অটোরিকশাচালক আমির উদ্দিন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, দীনবন্ধু মুন্ডার এক মেয়ের বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গলের রাধানগর চা-বাগান এলাকায়। মেয়ের শাশুড়ি অসুস্থ। তাকে দেখতেই দীনবন্ধু অটোরিকশা করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলে রওনা দেন। বিকেলের দিকে তারা সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আছুরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পূজন মুন্ডা নিহত হন। স্থানীয়রা গাড়ির ভেতরে আটকা পড়া আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানেও নেওয়ার পরও আরও দুজন মারা গেছেন। আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. জাকির হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই পূজন মুন্ডা মারা গেছে। মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবীন্দ্র মুন্ডা এবং সিলেটে নেওয়ার পথে দীনবন্ধু মুন্ডা মারা যান।
কুলাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ যায়যায়দিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়েছেন। অপর দুজন সিলেট এবং মৌলভীবাজার হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া ও ময়নাতদন্তের পর লাশগুলো হস্তান্তর করা হবে। কাভার্ডভ্যানচালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।