বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিপর্যস্ত জনজবীন, কাটেনি আতঙ্ক

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৪, ১৭:২৫

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

বরগুনার বেতাগীতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড উপকূলীয় এ জনপদ। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবাহ। উপড়ে পরেছে হাজার হাজার গাছপালা। ভেঙ্গে পড়েছে শত শত ঘরবাড়ি। ছুটে গেছে বেড়িবাধ ।

হুমকির মুখে বেতাগী শহর রক্ষা বাধ  উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ১ লক্ষ বিশ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরম আংতকেনআছে বিষখালী তীরবর্তী  হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার ১২৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে মধ্যে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের কাউনিয়া এবং মোকামিয়া ইউনিয়নের কাঠালতলা ও চরখালী গ্রামে ভেঙে গেছে প্রায় ১ কিলোমিটার বেড়িবাধ ফলে ১৫ টি গ্রামের ২০  হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ফলে তাদের জীবন কাটছে চরম মানবতায় ও অনিশ্চয়তার। পৌরশহরসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না-বাস্না বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অনাহারে অর্ধাহারে আছে লোকাজন। শহরের অধিকাংশ এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দী লোকজন আশ্রয় নিয়েছে উপজেলা কমপ্লে ভবনে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষ লোকজনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও মোমবাতি ও দিয়াশলাইট  বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ হাজার মানুষ এবং ৫ শতাধিক গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিপুল শিকদার রাতে আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব শেষ না হওয়ায় সোমবারও আশ্রয় কেন্দ্রে দুপুরে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবৃনে  শিশুপুত্র  নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আখি বেগম, তিনি জানান, আমার বসতঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমার ৬ মাসের শিশু সন্তান আইয়ানকে নিয়ে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছে। ভোলানাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া রাইসুল ইসলাম তার ৬টি গরু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার গরু গুলোর জন্যই আমি এই আশ্রয় কেন্দ্রে আসছি। পশুর জীবন বাঁচাতে আমার মত আরো অনেকে আশেপাশের আশ্রয় কেন্দ্রে উঠছে।  তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার সব মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় চুড়ি ডাকাতির আতঙ্কে কাটাচ্ছে তারা।

কেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গো্লাম কবির বলেন, পৌরএলাকা অধিকাংশ এলাকা ডানিতে তলিয়ে গেছে। লোকজন রান্না কনতে পারছে না।  তাই  উপজেলা প্রশাসন ও পৌরমভার পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল শিকদার বলেন, বিপদ সংকেত পাওয়ার পরপরই আমরা তৎপর রয়েছি এবং শুকনা খাবার মওজুদ করা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিচরণ করেছি। ইতিমধ্যেই সরকার ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে কাজ চণছে।

যাযাদি/এসএস