ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম শীলার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজু ও তার স্বজনরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ শীলার। বর্তমানে শিলা তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দর সাথে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম। এসময় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মাতাব্বর কান্দি এলাকায় আসলে রাজ্জাক মেলেটারী বাড়ির সামনে তার মটর সাইকেলে গতিরোধ করে সাজু ও তার ২ ছেলেসহ ৮/১০ জন। একপর্যায়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই সবাই তাকে এলোপাতাড়ি মারপিঠ করতে থাকে। এসময় শীলা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ডাক চিৎকারে করতে থাকলে পাশের বাড়ি লোকজন বের হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসার রয়েছেন।
এ ঘটনায় প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজু ও তার দুই ছেলেসহ অজ্ঞাতনাম ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুর ভাই হেনজু, ছেলে সবুজ ও ভাতিজা রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করেছে।
ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে শত শত মানুষ আহত শিলা কে দেখতে আসেন। পরে ঘটনার প্রতিবাদে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শহরের মুল সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
অপরদিকে, কহিনুর বেগম শীলার স্বামী অ্যাডভোকেট শাহবুদ্দিন গাজী তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে বিকেল ৪ টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, "আমাদের নির্বাচনী মাঠ থেকে উঠে যেতে সাজুর লোকজন নানান ভাবে হুমকী দিয়ে আসছেন। ২০১৯ সালে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এর আগের দিনও ফাতেমা বেগম সাজুর নেতা কর্মিরা প্রতিদন্ধি প্রার্থী শীলার উপর হামলা চালিয়েছে। ওই ঘটনায় দায়ের কৃত মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন আছে বলে জানা গেছে।"
তজুমদ্দিন থানাত অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, নারী ভাইস প্রার্থী কহিনুর বেগমের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যাযাদি/এসএস