চলতি মাস থেকেই নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন বিকল। এক্সরে মেশিন থাকলেও তা গত ৫ বছর ধরে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছিল।
১৯৬৪ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। এ উপজেলার ৩ লাখ লোকের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০১২ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
১৯৯০ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে ব্যবস্থা চালু হয়। কিন্তু চালুর পর থেকেই মেশিনটি কয়েকবার মেরামত করা হয়। বর্তমানে এক্সরে মেশিন বিকল হাওয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সেরে করাতে বাধ্য হচ্ছে রোগীরা। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রোগীদের রোগ নির্ণয়ের সুবিধার্থে ১৯৯০ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে বিভাগ চালু হয়। এরপর থেকেই প্রতিদিন ইনডোরের অন্তত ৫০/৬০ রোগীর এক্স-রে করা হতো।কিন্তু এক্সরে মেশিন বিকল। ফলে বাধ্য হয়েই হাসপাতালে সেবা নিতে আগত রোগীদের রোগ নির্ণয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিকে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে।
উপজেলা নজরপুর গ্রামের হাড় ভাঙ্গা রোগী আব্দুল মিয়া জানান, তিনি এসেছিলেন এক্সরে করাতে।কিন্তু এখানে এসে শুনেন এক্সরে মেশিন নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে এক্সরে করাবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল রেডিওলজিস্ট সেলিম জানান,পূর্বে অ্যানালগ মেশিন ছিল। বর্তমানে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন প্রয়োজন। এখানে রোগীর চাপ বেশি। ৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হয়। আউটডোরে প্রতিদিন৪০০/৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ইশরাত জাহান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক্সরে মেশিন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র পাঠানো হয়েছে।তবে এখানে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন থাকলে রোগীদের রোগ নির্ণায়ে সুবিধা হত।
যাযাদি/ এম