তাসনিয়া তাসনিম অন্বেষার বাবা-মা দু’জনেই চিকিৎসক। বোনও পড়ছেন মেডিকেল কলেজে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে কৃতকার্য ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সেরার মুকুট অর্জন করেছে অন্বেষা। চিকিৎসক দম্পতির এই কন্যা ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করে। প্রকাশিত ফলাফলে শিক্ষার্থী ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পেয়েছে। বোর্ডে সেরা দশজনের মধ্যে অন্বেষার ধারে কাছেও নেই অন্যরা।
অন্বেষার বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম ও মা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের গাইনী এন্ড অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বেগম মোসাহিদা আন্নুর। দুই বোনের মাঝে অন্বেষা ছোট। বড় বোন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়নরত।
বাবা-মা ও বড়বোনের মতো অন্বেষাও ভালোভাবে পড়াশুনা করে ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। অন্বেষা জানায়, দেশের চিকিৎসা সেবা জনগনের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই সে। প্রত্যাশা অনুযায়ী আশানুরূপ ফলাফল হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি শোকরিয়া আদায় করি।
এরপর বাবা-মা’র প্রতি এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রতি। যারা আমাকে এই ভালো ফলাফলে সবসময় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। অন্বেষা জানায়, বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের শাসন মেনে পড়াশুনায় একটু বেশি মনোযোগী হলেই একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব।
অন্বেষার বাবা ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, সন্তানের সাফল্য সব বাবা-মাকেই পুলকিত করে। রুটিন মাফিক পড়ালেখা করে মেয়ে এই সাফল্য পেয়েছে। আমাদের মেয়ে ডাক্তার হতে চায়। সে যেনো ভালো ডাক্তার হতে পারে সেটাই এখন প্রত্যাশা।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, অন্বেষা খুবই মেধাবি। ক্লাসেও ছিলো সে খুব মনোযোগী। অন্বেষা বোর্ড সেরা হওয়ায় গর্ববোধ করেন তিনি।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু তাহের জানান, তাসনিয়া তাসনিম অন্বেষা খুব ভালো ফলাফল করেছে। সে সর্বোচ্চ ১২৬৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর ১৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। মোট ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর এসএসি পরীক্ষায় বসতে ফরম পূরণ করেছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১ লাখ ১৯ হাজার ২৩৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬০ হাজার ৬১২ ও ছাত্রী ৫৮ হাজার ৬২৬ জন। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৮ জন শিক্ষার্থী।
যাযাদি/ এম