বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চরফ্যাশন-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ মালিকদের সিন্ডিকেটে যাত্রীদের দুর্ভোগ 

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
  ১৬ মে ২০২৪, ১৬:৪১
ছবি-যায়যায়দিন

ভোলার চরফ্যাশন বেতুয়া টু ঢাকা নৌ-রুটে চলছে লঞ্চ মালিকদের রোটেশন সিন্ডিকেট। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।

জানা যায়, যুগের পর যুগ উপজেলার সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি ছিল চরফ্যাশন বেতুয়া টু ঢাকা নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রথম একটি লঞ্চ চালু করলেও দুর্ভাগ্যবশত লঞ্চটির স্থায়িত্ব হয়েছে মাত্র ৭ দিন।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তৎকালীন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের একান্ত প্রচেষ্টায় এখানকার মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হয়। সেই থেকে ঝাঁকজমক পূর্ণভাবে দৈনিক তিনটি করে আসা-যাওয়া শুরু হয় এম ভি কর্ণফুলী, এম ভি তাসরিফ ও এম ভি ফারহান কোম্পানির ছয়টি লঞ্চ।

যাত্রীরা জানায়, অতিরিক্ত লাভের আশায় দীর্ঘ কয়েক বছরের নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে সম্প্রতি সময়ে লঞ্চ মালিকগণ রোটেশন পদ্ধতি চালু করেছে। রোটেশন পদ্ধতিতে এখন শুধু একটি করে লঞ্চ আসা-যাওয়া করছে।

তাঁরা বলেন, এই রোটেশন সিন্ডিকেটের কারণে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার, কেবিন সংকট, স্টাফ কেবিন ও ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, হাতে থাকা ছোট ছোট মালামালের ভাড়া আদায়, নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পারা, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাসহ বিভিন্ন সমস্যা ও দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।

বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকা আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, রোটেশন সিন্ডিকেটের কারণে বেতুয়া লঞ্চ ঘাটটি প্রায় যাত্রী শুন্য হয়ে পড়েছে। যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের জন্য এখন ঘোষেহাট, লালমোহন ও ভোলার লঞ্চ ঘাট বেঁচে নিয়েছে। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে বেতুয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার, ব্যবসায়ী ও লেবারদের। নিভে যাচ্ছে এই ঘাটের আলোর মুখ।

এবিষয়ে কর্ণফুলী লঞ্চ কোম্পানির মালিক মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এই রুটে যাত্রী কিছুটা কম হওয়ায় আমরা এই পদ্ধতি চালু করেছি। যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই লঞ্চ মালিকদের সাথে আলোচনা করে চলমান সমস্যার সমাধান করা হবে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছালেক মূহিদ বেলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা যাওয়ার জন্য আমিও লঞ্চে কেবিন পাইনি! অনেক কষ্ট করে যেতে হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের অভিযোগ ইতিপূর্বে আমরাও অনেক পেয়েছি।

তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএর সাথে যোগাযোগ করা হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে