সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্ন সাজে
প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ১২:১৪
হলুদ সোনালু, লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ও বেগুনী জারুল ফুল প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে রঙিন করে তুলেছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে যখন মানুষ ও প্রকৃতি হাঁপিয়ে উঠেছে, ঠিক সেই সময়েও চারদিকে সবুজের বুক চিরে হলুদ, রক্তিম লাল ও বেগুনী আভা জানান দিচ্ছে তাদের নয়নাভিরাম রূপের। ঢাকার লাগোয়া শিল্পখ্যাত জেলা গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন পথ-ঘাট এখন প্রকৃতির এক অপরূপ সাজে সজ্জিত। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কখনো দেখা মিলছে রোদ, কখনো ঝড়-বৃষ্টি। আর এর মধ্যেও প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুলের রং। যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে পথচারীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী ব্রীজের এক কোনে সড়কের পাশে সোনালু ফুলের হলুদ আভায় রঙিন হয়েছে পুরো সড়ক। গাছটি সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের বিমোহিত করছে। কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় পাঠাগার চত্বরে ঠায় দাঁড়িয়ে দুটি জারুল গাছ। গাছ দুটি পাঠাগারে আসা পাঠক-দর্শনার্থীদের মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে।
কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কোনে অনেক পুরনো দুটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। ওই জায়গাটা খুবই ঠান্ডা। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উঠা আসা বাতাসে গা জুড়ায়। তাছাড়া এখানে অনেকেই আসে ঘুরতে ও ছবি তুলতে। আবার অনেকে গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়। কালীগঞ্জের আনাচে-কানাচে অসংখ্য সোনালু, জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। যা এই সময়ে সবুজের মাঝে অন্যরকম এক মাত্র যোগ করেছে।
দড়িসোম গ্রামের চল্লিশোর্ধ মুহাম্মদ আলামিন বলেন, আসলে এই সময়টাতে প্রকৃতিতে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। বিশেষ করে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুলের রং আমাদের মনকে রাঙ্গিয়ে যায়।
ভাদার্ত্তী গ্রামের গ্রামের ত্রিশোর্ধ নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল গাছ লাগানো হলে সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি অবিচারে গাছ কেটে ফেলার ঘাটতি পূরণ হবে।
বোয়ালী গ্রামের ত্রিশোধ রনি হায়দার সুমন বলেন, ফুল আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে প্রকৃতি সাজে নিজের মত করে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সুযোগ মত গাছ লাগানো। সেই ক্ষেত্রে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল গাছ হলে মন্দ হয় না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে বিদেশী গাছ না লাগিয়ে, এলাকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে ওই ধরণের গাছপালা লাগানো উচিত। সে ক্ষেত্রে সোনালু, জারুল বা ছাতিম গাছও হতে পারে। এতে করে গাছগুলো ফুল ফুটলে প্রকৃতি ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে বলেও মনে করেন উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
যাযাদি/ এসএম