পটুয়াখালীর দুমকিতে পারিবারিক শত্রুতার জেরে মাহফিল ইস্যুতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মোশারেফ মুন্সী হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।
শনিবার (১১ মে) বিকেলে প্রেসক্লাব, দুমকির সভাকক্ষে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পবিরারের সদস্য ও কার্ত্তিকপাশা মুন্সী বাড়ি জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো: ফারুক হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে সকল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার কার্ত্তিকপাশা গ্রামের কুখ্যাত খুনি ’ঠ্যাং কাটা কালু’ চৌকিদারের বংশধররা পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় মুন্সিরহাটে মোশাররফ মুন্সীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঠ্যাং কাটা কালুর ভাই ছত্তার মহুরী ও তার ছেলে সালাউদ্দিন বাপ্পি’র নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী মোশাররফ মুন্সীকে এলোপাথারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় বাঁধা দিলে সাবেক ইউপি সদস্য সোবাহান মুন্সী, সহিদ মুন্সীসহ আরও অন্ত:ত ১৫জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। আহতদের ডাকচিৎকারে বাজারের ব্যবসায়িসহ এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত মোশাররফ মুন্সী, সোবাহান মুন্সী, সহিদমুন্সীকে মুমুর্ষূ অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে গত ২৯ এপ্রিল দুমকি থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুলতান মুন্সী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে মোশাররফ মুন্সীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঘটনার পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা মেডিকেলে টানা ১১দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ মে তার (মোশাররফ) মৃত্যু ঘটে। বিগত ৮ মে তারিখে পেনাল কোড ৩০২ দ:বিধি ওই মামলায় সংযুক্ত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ইতোমধ্যে মামলার অন্যতম দুই আসামি করাগারে রয়েছে।
এদিকে হত্যামামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা কুৎসা রটনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাঁধাপ্রদানের মিথ্যে তথ্যে বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে মুন্সি পবিরারকে সামাজিক ভাবে সন্মানহানীর অপচেষ্টা করছে। তাই অবিলম্বে মোশাররফ মুন্সী হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করত: বিচারে ফাঁসির দাবি করেছেন নিহতের পবিরার।
যাযাদি/ এম