ঝালকাঠিতে একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় টাকা দেয়ার অপেক্ষায় ছিল অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি গাড়ি। এসময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে নেমে যায়।
এতে প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার ৭ আরোহী এবং প্রাইভেটকারের ৪ আরোহী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ৩ জন । এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্ততপক্ষে ২০ জন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিমেন্টবাহী ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছে প্রাইভেটকারটি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক তারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে জানান, ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ৩টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ১১ জন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে আহতদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিলে সেখানে আরও ৩ জন মারা যান।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা, যারা পঙ্গুত্বের শিকার হবেন তাদের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলোর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।আহতদের ঝালকাঠি ও বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক রয়েছে।
যাযাদি/এসএস