দিনের বেলায় রাত নেমে এলো মনপুরায়, সকাল ১০ টা থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকার হতে থাকে। সকাল ১১ টায় উপজেলা জুড়ে যেন রাত নেমে আসে। পুরোপুরি রাতের মতো অন্ধকার হয়ে প্রবল বেগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে থাকা মানুষ চারদিকে ছুটাছোটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে।
অন্ধকার হয়ে শুরু হয় প্রবল বেগে আকষ্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা। এই আকষ্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ৬৬০ টি বাড়িঘর পুরোপুরি ও প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যনরা। এছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে ৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এদিকে অসংখ্য গবাদী পশু নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য না দিতে পারলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
রোববার (০৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় আকাশ মেঘাচ্ছান্ন হয়ে রাতের মতো অন্ধকার হয়ে এই প্রবল ঝড় ও শিলাবৃটি শুরু হয়। ঘন্টাব্যাপী চলে এই ঝড়ের তান্ডবতা।
জানা যায়, প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উড়িয়ে নিয়ে যায় বহু বাড়িঘর। লন্ডভন্ড হয়ে যায় অসংখ্য গাছপালা। সড়কে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় মনপুরার আভ্যন্তরীন যোগাযোগ। এদিকে আকষ্মিক কালবৈশাখি ঝড়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে ৫০ টি বাড়িঘর, হাজীর হাট ইউয়নিয়নে ৪০০ টি, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে ৪০ টি, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ২০ টি ও কলাতলি ইউনিয়নে ১৫০ টি বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যানরা। এছাড়াও প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ থাকায় ফায়ারসার্ভিসের কর্মিরা পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন।
মনপুরা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মোঃ ফজলুর রহমান জাানান, সকাল ১১ টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে হঠাৎ প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পুরো মনপুরায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমরা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও পরিচ্ছন্ন কাজ শুরু করি। আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
যাযাদি/এসএস