দিরাইয়ে ৬০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত অসহায় মানুষদের জন্য দেয়া ৬০ বস্তা চাউল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের চাচা কাসেম মিয়ার দোকান রাজানগর বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনি রায় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে দিরাই থানা পুলিশ ৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করে দিরাই থানায় নিয়ে আসে। এসময় দোকান কর্মচারী সোহেল মিয়াকে (৩০) আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র কুমার তালুকদার জানান, আমি বৃহস্পতিবার দিরাই খাদ্য গুদাম থেকে বিজিএফের ৬ টন চাউল উত্তোলন করেছি। আমার ইউনিয়নের মেঘনা-বারঘরের লোকজনের সুবিধার্থে রাজানগর হয়ে চাউল পাঠিয়েছি। বিকেল বেলা আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমি রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাইকে চাউলগুলো বৃষ্টি থেকে হেফাজতের অনুরোধ করি। রাতেই খবর পাই উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জনি রায় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে দিরাই থানা পুলিশ চাল উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার চাউল কোথায় জিজ্ঞেস করলে সে এগুলো দেখায়। অথচ তিনটি বস্তার মুখ খোলা থাকায় আমি সেগুলো রিসিভ করি নি, যা সরকারি কর্মকর্তাদের সামনেও বলেছি।
রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, উদ্ধারকৃত চালগুলো তার নয়। তার ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত চাল তিনি গত বুধবারের মধ্যেই বিতরণ করে শেষ করেছেন, এ চাল কার তা তিনি জানেন না।
জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ছোট ভাই রাজানগর বাজারের ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম জানান, বিকেলে রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈলেন চন্দ্র দাস তাকে ফোন করে কিছু চাল বাজারে রাখার ব্যবস্থা করতে বলেন। তার অনুরোধে আমার চাচাতো ভাইয়ের দোকানে রাখতে দিয়েছি, চালগুলো তারই।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনি রায় বলেন, খবর পেয়ে রাজানগর বাজারে গিয়ে একটি দোকানে ৬০ বস্তা সরকারি চাল পাওয়া যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারসহ আমরা দিরাই থানা পুলিশের মাধ্যমে তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। যেহেতু এটি চুরি ও জালিয়াতি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দোকানে সরকারি চাল রাখা অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দিরাই থানা ওসি তদন্ত রতন দেবনাথ বলেন, সংশ্লিষ্ট অফিস যেভাবে মামলা দায়ের করবে, সে ভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাযাদি/ এসএম