পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় লাইফ কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ছেলের সামনে চিকিৎসারত অসুস্থ্য মাকে মারধরের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালের হামলাকারীদের শাস্তি ও লাইফ কেয়ার হসপিটাল বন্ধের দাবিতে পৌর শহরে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, অভিলম্বে সেবাহীন হসপিটালটি বন্ধের আহবান জানান এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবি জানারো হয় ।
অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। এ ঘটনায় লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক পারভিন আক্তার ও প্রিন্স মৃধা সহ অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভাণ্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় হাসপাতালটির অন্যতম মালিক পারভিন আক্তারকে বুধবার দিনগত রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।
আহত বিনাদেবী‘র ছেলে মানবেন্দ্র রায়ের অভিযোগ, ভান্ডারিয়া পৌরসভার ওভার ব্রিজ সংলগ্ন লাইফ কেয়ার হসপিটালে ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ইলেক্ট্রনিক ব্যবসায়ী মানবেন্দ্র রায় (মুন্না) তার মা বিনাদেবী রায় (৫২)-কে এক ব্যাগরক্ত দেয়ার জন্য লাইফ কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যায়।
এ সময় বিনাদেবী হাসপাতালের জানালা দিয়ে বাহিরে পানের পিক ফেলা নিয়ে আয়া ও নার্সদের সাথে কথার কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে হসপিটালের আয়া - নার্স ও মালিক প্রিন্স মৃধা এবং পারভিন মিলে অসুস্থ্য বিনাদেবী ও তার ছেলে মানবেন্দ্র রায়ের ওপরে হামলা চালিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা তাকেও মারধর করে। আহত বিনাদেবীকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক প্রিন্স মৃধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলাম না। তবে, ওই রোগীর সাথে পানের পিক ফেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
যাযাদি/ এস