জামালপুরে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা

মৃত রোগীর ছেলে আটক

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মৃত রোগীর স্বজনদের হামলায় ইন্টার্ন চিকিৎসক আহতের ঘটনায় কর্মবিরতি শুরু করেছে ইন্টার্নরা। এই ঘটনায় মৃত রোগীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। 

সোমবার মধ্য রাতে জামালপুর পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামের গুল মাহমুদকে অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা। পরে রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের উপর চড়াও হয়, এ সময় অন্য ওয়ার্ড থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে তাদের উপরও স্বজনরা হামলা করে ও চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা: মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা: ফহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা: তুষার আহমেদ আহত হয়। 

এদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে মৃতের স্বজনরা জানায়, মৃত গুল মাহমুদের মরদেহ হাসপাতালে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ছেলেদের সাথে হাসপাতলের স্টাফদের বাকবিতণ্ডা হয়। এই কারণে রাত ২টার দিকে মৃত্যু হলেও দুপুর পর্যন্ত মরদেহ আটকে রাখে কর্তৃপক্ষ। ছেলেকে গ্রেফতার করা হলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে অভিযোগ স্বজনদের।   

অপরদিকে সকল হামলাকারীদের গ্রেফতার, শাস্তি ও ইন্টার্নদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরে দুপুরে গুল মাহমুদের ছেলে হায়দার হাসপাতালে তার বাবার মরদেহ নিতে আসলে স্বজনদের কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তর করে এবং এ সময় হায়দারকে আটক করে পুলিশ। 

জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে জরুরি বিভাগে আনলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ওয়ার্ডে নেওয়ার পরই তার মৃত্যু হয়। এ সময় মৃত রোগীর দুই ছেলেসহ স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎকদের ওপর হামলা করে এবং হাসপাতালে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি, পাশাপাশি ইর্ন্টাণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে ইর্ন্টান চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে থাকলেও সিনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালের সেবাদান অব্যাহত রেখেছে। 

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম