রংপুরের মিঠাপুকুরে এসএসসি সহ দাখিল এবং সমমান পরিক্ষাগুলোতে শিক্ষক কর্তৃক প্রশ্নপত্র মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাহিরে ফাঁস করার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এমন অপরাধে ইতিমধ্যে এক শিক্ষক সহ এক ভুয়া পরিক্ষার্থীর একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রামমাণ আদালত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দূর্বল নজরদারি এবং কেন্দ্র সচিব সহ দায়িত্বরত শিক্ষকদের স্বজনপ্রীতি ও দূর্বলতা এবারের এসএসসি এবং সমমানের পরিক্ষা অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে। কোনভাবেই যেনো থামছেই না প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা।
বুধবার (২৮-ফেব্রুয়ারি) সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় ১৪ নং দূর্গাপুর ইউনিয়নস্থ শঠীবাড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষা চলাকালে কেন্দ্রটির ভিতরে অফিস রুমে ভিডিও ফোনে প্রশ্নপত্র ধারণ করার সময় দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ভিডিও মোবাইল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ওই দুই শিক্ষক হলেন, মিঠাপুকুর উপজেলার কাঠালী উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মোঃ রাসেল মিয়া(৪৩) এবং বদরগন্জ উপজেলার কচুয়া মাঠের হাট গ্রামের মৃত- আব্দুল আজিজের পুত্র নজরুল ইসলাম (৪৯)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বুধবার দিবাগত রাতে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) ৯(খ)/১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন শঠিবাড়ী সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব এজেএম -আব্দুল লতিব।
বৃহস্পতিবার (২৯-ফেব্রুয়ারি) তাদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। যাহার মামলা নং-৪৪/৯২। গ্রেফতারকৃত রাসেল বৈরাতি দাখিল মাদ্রাসা এবং নজরুল ইসলাম, গুটিবাড়ি দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে শঠিবাড়ী সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব- এজেএম, আবুল লতিব বলেন, আমরা পরিক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দিবোনা। শিক্ষকদের মধ্যে যারা অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো। সবসময় আমরা সজাগ আছি।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই একটি মামলা দায়ের করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সম্পৃক্ততা শিক্ষকদের কলুষিত করছে বলে বিশিষ্টজনদের মতামত।
যাযাদি/ এম