পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে বেড়াচ্ছ সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা আগেভাগে ভোটারদের পক্ষে আনতে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এবং পাড়া-মহল্লা, হাটবাজার ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি। এছাড়াও তারা দোয়া চেয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন এবং তাদের অনুসারীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত ‘চেয়ারম্যান’ পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
এছাড়া পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল্লাহ আল জাবির (সোহেল ভুইঁয়া) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুস্তম আলী মোল্লাসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, দলীয় প্রার্থী দেবেন না। সেক্ষেত্রে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যায়।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে না, এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে স্বতন্ত্রভাবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সাহাবুদ্দিন নান্নু ও সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার নির্বাচনে আসতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এবিষয়ে তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দল যে সিদ্ধান্ত দিবে, সেই মোতাবেক কাজ করবেন তারা। তাই তারা এখন দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্যদিকে তাদের কারো কারো অনুসারীরা ‘চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়’ এমনটা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে দলটির নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে নানান কৌতুহল।
অপরদিকে কে হবে মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান’ তা নিয়ে শুরু হয়েছে সাধারণ জনগণের মাঝে হিসাবনিকাশ ও নানান জল্পনা-কল্পনা। তারা এলাকার চা-পানের দোকানে বসে চায়ের আড্ডা মিলিয়ে করছেন নির্বাচন নিয়ে নানান বিশ্লেষণ ও আলাপচারিতা।
ভোটাররা বলেন, ‘যে ব্যক্তি সৎ, যোগ্য ও ভালো মনের মানুষ, যার দ্বারা মানুষের উপকার হবে, যার দ্বারা এলাকার উন্নয়ন হবে, আমরা তাকেই চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবো।
যাযাদি/ এম